গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী পুরুষের স্বীকৃতি। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন ভেনেজুয়েলার জুয়ান ভিসেন্টে পেরেজ। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ পর্যন্ত তার বয়স ছিল ১১২ বছর ২৫৩ দিন।
Advertisement
আজ তার বয়স ১১২ বছর ১১ মাস ২৩ দিন। আগামী ২৭ মে তিনি ১১৩ তম বছরে পদার্পণ করবেন। তাহলে তিনিই হবেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি (জীবিত) হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম লেখালেন। যদিও এরই মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির স্বীকৃতি মিলেছে তার।
জুয়ান ভিসেন্টের আগে মিস্টার স্যাটার্নিনো দে লা ফুয়েন্তে গার্সিয়া ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি। ২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারী তিনি ১১২ বছর ৩৪১ দিন বয়সে মারা যান। এরপর জুয়ান ভিসেন্টে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত ব্যক্তি।
জুয়ান ভিসেন্টে পেরেজ ১৯০৯ সালের ২৭ মে ভেনিজুয়েলার তাচিরার এল কোব্রেতে জন্মগ্রহণ করেন। জুয়ান ছিলেন ইউটিকিও দেল রোজারিও পেরেজ মোরা এবং এডেলমিরা মোরার দশ সন্তানের মধ্যে নবম সন্তান।
Advertisement
তার পরিবার ১৯১৪ সালে সান জোসে দে বলিভারের একটি গ্রাম লস পাজুইলেসে চলে আসে। পাঁচ বছর বয়স থেকে তিনি তার বাবা ও ভাইদের সঙ্গে কৃষিকাজ শুরু করেন। তার পরিবার আখ ও কফি চাষ করতেন।
১৯৪৮ সালে তিনি ক্যারিকুয়েনায় একজন শেরিফ হিসেবে নিয়োগ পান। পরবর্তীতে তিনি তার কৃষক জীবনে থাকাকালীন দশ বছর ধরে চলে আসা জমি ও পারিবারিক বিরোধ সমাধান করতে সক্ষম হন।
এডিওফিনা ডেল রোজারিও গার্সিয়াকে বিয়ে করেছিলেন। ৬০ বছর তারা একসঙ্গে সংসার করেছেন। তাদের আছে ছয় পুত্র ও পাঁচ কন্যা সন্তান। ৪১ জন নাতি-নাতনিও আছে তাদের। ১৯৯৭ সালে রোজারিও মারা যান।
কৃষিকাজের মতো জুয়ানের জীবনে ধর্ম পালনও খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তি জীবনে তিনি খুবই ধার্মিক এবং পারিবারিক সম্পর্কের ব্যাপারে খুবই সচেতন ছিলেন।
Advertisement
জুয়ান ভিসেন্টে টেলিভিশন এবং ইন্টারনেটের মতো অনেক অসাধারণ আবিষ্কারের সাক্ষী। ৫১ বছর বয়সে তিনি প্রথম আইডি কার্ড বানান। আইডি কার্ডে ব্যবহারের জন্য প্রথম তিনি সাদা কালো ছবি তুলেছিলেন। বর্তমানে জুয়ান সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। মাত্র ৮ দিন পরই তিনি পালন করবেন তার ১১৩তম জন্মদিন।
সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস
কেএসকে/এএসএম