মাইজভাণ্ডারী দরবার শরীফের আধ্যাত্মিক সরাপতের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম হযরত মাওলানা শাহসূফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারীর (ক.) ১১০তম বার্ষিক ওরশ বৃহস্পতিবার ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার দরবারে শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়েছে দরবারসহ আশপাশের এলাকা। বসেছে দেশ-বিদেশের লাখো ভক্তের সমাগম।ওরশে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, বার্মা, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অসংখ্য ভক্ত-অনুরক্ত অংশ নেন। ভক্তরা মাজারের আশপাশে স্ব-স্ব মঞ্জিলের অস্থায়ী ক্যাম্পে যে যার মতো অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া প্রত্যেক মনজিলে খতমে কোরআন, খতমে গাউছিয়া, খতমে খাজেগান, মিলাদ মাহফিল, হালকায়ে জিকির, ছেমা মাহফিল, বিশেষ মোনাজাত ও আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে।ফটিকছড়ির উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর ওরশ উপলক্ষে ক্লোজ-সার্কিট ক্যামরা ও ভিডিও চিত্র ধারণের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত সব সময় টহলরত থাকবে। যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে নাজিরহাট নতুন রাস্তার মাতায়, ফটিকছড়ি সদরে ও নানুপুর লায়লা-কবির কলেজ মাঠে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুকুর আবর্জনা মুক্ত রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমানে ভ্রাম্যমাণ স্যানিটেশন ব্যবস্থা করা হয়েছে। যোগাযোগের জন্য একটি তথ্য কেন্দ্র খোলা হয়েছে। গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের শাহজাদা সৈয়দ নুরুল ইসলাম রুবাব জানান, গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর ওরশে আগত আশেক-ভক্ত, জায়েরীনদের জন্য থাকা-খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা, নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শাহ এমদাদীয়া মঞ্জিল শাহজাদা সৈয়দ ইরফানুল হক জানান, বংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, বার্মা, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকেও ধর্ম-প্রাণ মুসলমানরা মাইজভাণ্ডার শরীফে আসবেন। ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মাইজভাণ্ডারের ওরশ নিরাপদ করতে র্যাব, পুলিশ, আনসার ও বিভিন্ন মঞ্জিলের সহস্রাধিক স্বেচ্ছাসেবকের সমন্বয় করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সবস্থানে ক্লোস সার্কিট ক্যামরা স্থাপন করা হয়েছে।জীবন মুছা/জেডএইচ/আরআইপি
Advertisement