পাম তেল রপ্তানি নিষিদ্ধ করার পর থেকে দ্রুত জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। এরই মধ্যে তার জনসমর্থন গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে গেছে। স্থানীয় একটি জরিপ সংস্থার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
Advertisement
ইন্ডিকেটর পলিটিক ইন্দোনেশিয়া পরিচালিত সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, চলমি মে মাসে জোকো উইদোদোর জনসমর্থন ৫৮ দশমিক ১ শতাংশে নেমে গেছে, যা ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে সর্বনিম্ন। সেসময় ৫৩ শতাংশে নেমেছিল তার জনসমর্থন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যেই ১২ পয়েন্ট হারিয়েছেন ইন্দোনেশীয় প্রেসিডেন্ট।
স্থানীয় বাজারে দাম কমানোর লক্ষ্যে গত ২২ এপ্রিল পাম তেল রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন জোকো উইদোদো, ২৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয় এ সিদ্ধান্ত। ঘোষণার সময় তিনি বলেছিলেন, দেশীয় বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণে আসলেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। তবে এখনো দেশটিতে তেলের দাম চড়া।
রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ১৭ মে জাকার্তায় পাম চাষিদের বিক্ষোভ। ছবি সংগৃহীত
Advertisement
ইন্ডিকেটরের জরিপে বলা হয়েছে, জোকো উইদোদের জনপ্রিয়তা কমার কারণ ভোজ্যতেলের ক্রমবর্ধমান দাম ও মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সম্পর্কিত। বিশেষ করে পাম তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েও স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে ব্যর্থ হওয়ায় জনপ্রিয়তা কমেছে ইন্দোনেশীয় প্রেসিডেন্টের।
জরিপে দেখা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার বেশিরভাগ মানুষ পাম রপ্তানি নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করলেও ভোজ্যতেলের দাম এখনো নাগালের বাইরে জানিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তারা।
গত ৫ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ জনের ওপর চালানো হয় এ জরিপ। এদের ৭২ শতাংশই বলেছেন, ভোজ্যতেলের দাম কম সহজলভ্য অথবা মোটেও সহজলভ্য নয়।
ইন্দোনেশীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত শুক্রবার পর্যন্ত দেশটিতে প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম গড়ে ১৭ হাজার ৩০০ রুপিয়া (১০৩ টাকা প্রায়) ছিল।
Advertisement
ইন্দোনেশিয়ার মুখ্য অর্থমন্ত্রী এয়ারলাঙ্গা হার্তার্তো জানিয়েছেন, সেখানে প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম গড়ে ১৪ হাজার রুপিয়ায় (প্রায় ৮৩ টাকা) নামলেই রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হতে পারে।
কেএএ/জিকেএস