দেশজুড়ে

নেত্রকোনায় জলবসন্ত : রোগীদের পাশে নেই দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় জলবসন্ত আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। এ রোগীদের সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য ২ জন চিকিসককে দায়িত্ব দেয়া হলেও তারা এলাকায় যাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকার চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মীরাদের অতিরিক্ত নজরদারিতে রাখা হলেও তারা আক্রান্ত এলাকায় নেই বলে জানায় আক্রান্ত রোগীর স্বজনরা। নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার জামশেন গ্রামে জলবসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে গেল এক মাসে মারা গেছে পাঁচজন । কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, আক্রান্ত হয়েছে আশপাশের আরো চারটি গ্রামের মোট ৬২জন।  কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বৃহস্পতিবার সকালে জাগো নিউজকে জানান, আক্রান্ত রোগীদের তদারকির জন্য ২ জন চিকিসককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন- ডাক্তার সাজ্জাদ হোসেন ও সিধলী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সাব-এসিস্টেন্ট মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আবুল কালাম আজাদ। সংক্রমিত এলাকায় সার্বক্ষণিক তদারকির দায়িত্ব থাকলেও তারা নিয়মিত আক্রান্ত এলাকায় যাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিধলী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সাব-এসিস্টেন্ট মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আবুল কালাম আজাদ জাগো নিউজকে জানান, স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের নিয়মিত তথ্য দিচ্ছেন এজন্য তারা আক্রান্ত এলাকায় যান না। তবে আক্রান্ত এলাকার খবর রাখছেন তারা।কলমাকান্দা উপজেলার জামশেন গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন জাগো নিউজকে জানান, আগেই আক্রান্ত ছিল ৫টি গ্রামে । নতুন করে পার্শ্ববর্তী বিষমপুর ও শামপুর গ্রামেও আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে। তবে সরকারি ডাক্তারদের পরামর্শ পাচ্ছেন না আক্রান্তরা। নতুন করে বিষমপুর গ্রামের লিটন মিয়া (২৫) তানিয়া আক্তার (৩), সুর্বণা আক্তার (১২), লামিয়া (৪), নাওরিপাড়া গ্রামের শ্রেষ্ঠা রায় (৫) ও শামপুর গ্র্রামের রাকিব (৭) আক্রান্ত হয়েছে।কলমাকান্দা উপজেলার বিষমপুর গ্রামের সাংবাদিক এসএমএ কুদ্দছ জাগো নিউজকে জানান, বিষমপুর গ্রামে পাঁচজন রোগী আক্রান্ত হয়েছে। চিকিৎসকরা  রোগীদের সচেতন করছেন না । যেহেতু রোগটি বাতাসে সংক্রামিত হয় তাই চিকিৎসার পাশাপাশি আক্রান্ত এলাকার মানুষদের জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার।  কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ফরহাদ হোসেন জাগো নিউজকে জানান, আক্রান্ত রোগী এখন পযর্ন্ত ৬২ জন হয়েছে। মেডিকেল টিম দিয়ে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে । জেলা সিভিল সার্জন ডা. বিজন কান্তি সরকার জাগো নিউজকে জানান, রোগীদের সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য এলাকায় ২ জন চিকিৎসককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা নিয়মিত এলাকা পরিদর্শন করে রোগীদের দেখাশোনা করছেন।এদিকে ঢাকা থেকে বিশেষ মেডিকেল টিম আক্রান্ত রোগীদের পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছিলেন। রোগ তথ্য, রোগ নির্ণয় ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের চিকিৎসকরা রোগীদের নিকট থেকে আলামত সংগ্রহ করে ল্যাবে নিয়ে দ্রুত পরীক্ষা করে ২ দিনের মধ্যে রোগটির বিষয়ে সঠিক তথ্য দেয়ার কথা থাকলেও  ৪ দিন পরও আনুষ্ঠানিকভাবে এ রোগের কোনো তথ্য দেয়নি জেলা সিভিল সার্জন অফিস।কামাল হোসাইন/এসএস/আরআইপি

Advertisement