আইন-আদালত

তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করছেন খালেদার আইনজীবীরা

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে (আইও) দ্বিতীয় দিনের মতো আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করছেন।  পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে এ মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার ৩২তম ও শেষ সাক্ষী মামলার আইও হারুন-অর-রশিদকে খালেদা জিয়ার পক্ষে অসমাপ্ত জেরা করছেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান।খালেদা জিয়ার পক্ষে তার অনুপস্থিতির জন্য আবেদন জানান আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। আদালত খালেদার অনুপস্থিতির আবেদন মঞ্জুর করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের আদেশ দেয়। এর আগে এ মামলায় আরো ৩১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা হয়েছে।দুদকের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাকাকলীন খালেদা জিয়া এ ট্রাস্ট করেছেন। যা আইনত করা য়ায় না। ট্রাস্টের অর্থ নিজেরা লাভবান হতে ব্যয় ও আত্মসাৎ করেছেন বলে তিনি দাবী করেন। খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে থাকায় এর আগেও  মামলায় কয়েকটি ধার্য তারিখে আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ জন্য তার পক্ষে আইনজীবীরা হাজিরা প্রদান করেন। চিকিৎসার জন্য প্রায় দুই মাস লন্ডনে থেকে গত ২১ নভেম্বর দেশে ফিরেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে গত ৩০ নভেম্বর নাইকো সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় দুদক মামলা দায়ের করে। এ মামলায় ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক অভিযোগপত্র দাখিল করে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। গত ১৯ মার্চ দুই মামলায় খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩।এফএইচ/জেডএইচ/আরআইপি

Advertisement