আলোচিত রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পি কে হালদারকে ভারতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পিকে হালদার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অদ্যাবধি ৩৪টি মামলা করা হয়েছে। অভিযোগ ওঠার পরই দেশ থেকে পালিয়ে যান পিকে হালদার।
Advertisement
পি কে হালদারকে দ্রুত দেশে ফেরত আনতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে দুদক। তার পাচার কার অর্থও ফেরত আনার চেষ্টা করছে সংস্থাটি। তবে তাকে বা পাচার করা অর্থ, কোনোটিই দ্রুত ফেরত আনা যাবে না বলেও মনে করছে সংস্থাটি।
সোমবার (১৬ মে) পি কে হালদারের বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে জরুরি বৈঠক বসে দুদক। বৈঠক শেষে দুদকের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের বলেন, যে মামলায় চার্জশিট হয়েছে সে মামলায় পি কে হালদারের ওয়ারেন্ট অব অ্যারেস্ট ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। আমরা ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমাদের দিক থেকে প্রেসার থাকবে যে যত দ্রুত তাকে আমরা বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পারি। এজন্য ভারতীয় সবার সঙ্গেই আমরা যোগাযোগ করবো। কতদিনের মধ্যে তাকে ফিরিয়ে আনা যাবে এটা স্পেসেফিক বলা খুব কঠিন। ৪ মাস, ৬ মাস কত দিন লাগবে, কী পরিমাণ মামলা ভারতে হয়েছে, সেগুলোর বিচারে কতদিন লাগবে এটা বলা খুব কঠিন।
তিনি আরও বলেন, নেপথ্যে যারা আছে তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে দুদক কোনো গড়িমসি করবে না। এটুকু নিশ্চিত যে মামলা করার মতো যদি পর্যাপ্ত তথ্য পাই মামলা করতে দুদক কোনো গড়িমসি করবে না। পি কে হালদার সংশ্লিষ্টতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের এসকে সুর ও শাহ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে অবশ্যই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
Advertisement
বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টাকা ফেরত আনার পদ্ধতি অনেক জটিল। আমরা আশাবাদী যে পি কে হালদাররের কাছ থেকে তথ্য পেলে মানিলন্ডারিং হয়ে যেসব সম্পদ দেশের বাইরে গেছে সেগুলো ফেরত আনা সম্ভব হবে।
এসএম/এমএইচআর/এএসএম