জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ জয়ের পর তৃতীয় ম্যাচে হারতে হলো বাংলাদেশকে। শেষ ম্যাচ হারলে সিরিজ জয়ই সম্ভব হবে না টাইগারদের। এই অবস্থায় দলে চার অভিষেকসহ পাঁচ পরিবর্তন বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা একটু বেশি হয়ে গেলো কি না এমন প্রশ্নই উঠছে বার বার। মুশফিক-মুস্তাফিজের ইনজুরি এবং আল-আমিনের বিশ্রামের জন্যই এতগুলো পরিবর্তন বলে জানান বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ।বুধবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের কম্বিনেশন নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘এটা তো প্রথম থেকেই বলা ছিল। আমাদের দুইজন খেলোয়াড় ইনজুরিতে আর আল আমিন বিশ্রামে। সে ক্ষেত্রে তিনটি পরিবর্তন হবেই। সে সঙ্গে আরও দুইজন পরিবর্তন হয়েছে। এটা প্রথম থেকেই পরিষ্কার করা ছিলো, ম্যাচটিতে যেহেতু নতুন মুখ খেলছে এটা কঠিন হতে পারে। তার সঙ্গে প্রথমে বৃষ্টি হওয়াতে আমাদের জন্য অসুবিধা হয়েছে এবং পরে বৃষ্টি না হওয়াতে ব্যাটিং আরও অসুবিধা হয়েছে। আমাদের বোলিংয়ের সময় যতটুকু কষ্ট হয়েছে, আউটফিল্ড শুকিয়ে যাওয়ার কারনে ওরা গ্রিপ ধরতে পেরেছে। তাতে করে আমাদের ব্যাটসম্যানদের অসুবিধা হয়েছে।’কম্বিনেশন নিয়ে এতো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ইতিবাচক কি খুঁজে পেলেন এমন প্রশ্নে অধিনায়ক বলেন, ‘আসলে ট্যাকনিক্যাল বিষয়গুলো আমি বলার চেয়ে কোচিং স্টাফ আছে তারা আরও ভালো বলতে পারবে। কিছু কিছু জায়গা আছে তারা আরও ভালো বলতে পারবে। আমার চোখে বললে বলবো, সৈকতকে দেখলাম, ইমরুল সবসময় অভিজ্ঞ খেলোয়াড়; আগে রান করেছে। অন্য যারা ছিল সেভাবে সুযোগ পায়নি। আমি মনে করি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সবাইকে এক সঙ্গে দেখাও কঠিন।’নতুন খেলোয়াড়দের উপর আস্থা রয়েছে বলে জানান মাশরাফি। তাদের নিয়ে লড়াই একটু কঠিন হবে আগে থেকেই জানতেন অধিনায়ক। তবে এদিন পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন না করতে পারায় দলের এমন হার হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ‘নতুন খেলোয়াড় নামলে এই ম্যাচটি কঠিন হতে পারে। তারপরও সবাইকে বোঝানো হয়েছে, সবাই সবার ক্ষমতা সম্পর্কে জানতো। তাদেরকে সেভাবে অনুশীলন করানো হয়েছে। আমরা যা পরিকল্পনা করেছি সেটা বাস্তবায়ন করতে পারিনি।‘আরটি/আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement