গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি হরতাল-অবরোধ চলাকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় নিহত যশোরের নুরুজ্জামান পপলু ও তার মেয়ে মাইশা তাসলিমার লাশ ৩৫১ দিন পর বৃহস্পতিবার কবর থেকে উত্তোলন করা হবে। চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ নিহতদের গ্রামের বাড়ি যশোর সদরের ঘোপসেন্ট্রাল রোডের কবরস্থান থেকে আদালতের নির্দেশে তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করবে বলে জানিয়েছে। লাশ উত্তোলন করতে বুধবার রাতেই যশোরের উদ্দেশ্যে কুমিল্লা ত্যাগ করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের এসআই ইব্রাহীম। গত বছরের ওই বর্বরোচিত এ ঘটনা দেশ-বিদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিএনপি-জামায়াত জোটের লাগাতার হরতাল-অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় কক্সবাজার থেকে ঢাকা অভিমুখি আইকন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী নৈশকোচে ঘুমন্ত যাত্রীদের উপর পেট্রলবোমা হামলায় ৮ জন নিহত হয়েছিলেন। নিহতদের মধ্যে একজন ব্যতীত অন্যদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের আত্মীয়-স্বজনরা নিয়ে দাফন করেছিল। আদালতের নির্দেশে নিহতদের মধ্যে ঘটনার ৩৫১ দিন পর বৃহস্পতিবার যশোর গণপূর্ত বিভাগের ঠিকাদার ও যশোর জেলা সদরের ঘোপসেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা হাজী রুকনুজ্জামানের ছেলে নুরুজ্জামান পপলু (৪৬), তার মেয়ে যশোর পুলিশ লাইন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী মাইশা তাসলিমার (১৬) লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হবে।উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ জানুয়ারি যশোর জেলা জাসদের সদস্য নুরুজ্জামান পপলু কক্সবাজার যাওয়ার সময় মেয়ে যশোর পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মাইশা তাসলিম ও স্ত্রী মাহফুজা মিতাকে সঙ্গে করে নিয়ে যান। ২ ফেব্রুয়ারি রাতে কক্সবাজার থেকে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে আইকন পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি নৈশকোচে করে রওনা হন তারা। মিতা জীবিত বের হয়ে এলেও পেট্রলবোমা কেড়ে নেয় পপলু ও মাইশার জীবন। মো. কামাল উদ্দিন/এমএএস/আরআইপি
Advertisement