খেলাধুলা

বল হাতেও ফোর হান্ড্রেড সাকিবের

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের মুকুট যার মাথায়, তিনি মাঠে নামলে ব্যাক্তিগতভাবে কিছু না কিছু অর্জণ হবেই। এটা যেন নিয়তি নির্ধারিত। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে তৃতীয় ম্যাচে এসে হেরে গেছে বাংলাদেশ। তবে, ব্যাক্তিগত একটি লক্ষ্যে পৌঁছেই গেলেন সাকিব আল হাসান। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে (সব ফরম্যাট মিলিয়ে) ৪০০তম উইকেটের মালিক হয়ে গেলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।নিজের নামের পাশে ৩৯৯ উইকেট নিয়ে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছিলেন সাকিব। ইনিংসের নবম ওভারে রিচমন্ড মুতুম্বামিকে সাব্বির রহমানের ক্যাচে পরিণত করে গৌরবময় ৪০০ উইকেটের মাইফলকে পৌঁছে গেলেন সাকিব। টেস্ট ক্রিকেটে সাকিবের শিকার ১৪৭ উইকেট, ওয়ানডেতে ২০৬ এবং টি-টোয়েন্টিতে আজকের (বুধবার) তিনটি নিয়ে মোট শিকার ৪৯টি। টেস্টে সর্বোচ্চ শিকারী সাকিবই। ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ শিকারী না হলেও, এই মাইলফলক ছুঁতে তার খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়। কারণ, সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর দৌড়ে আবদুর রাজ্জাকের চেয়ে পিছিয়ে আছেন মাত্র ১ উইকেটে। রাজ্জাকের ২০৭ উইকেট, সাকিবের ২০৬টি। টি-টোয়েন্টিতে ৪৯ উইকেট নিয়ে সেরা সাকিবই। তিন ধরনের ফরম্যাটেই আলাদা আলাদাভাবে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক যে হয়ে যাবেন তাতে সন্দেহ নেই। শুধু বাংলাদেশের হয়েই নয়, সাকিবের আগে মাত্র দুজন বাঁ-হাতি স্পিনার ছুঁয়েছেন ৪০০ উইকেটের মাইলফলক। নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টরির ৭০৫ ও শ্রীলংকার সনাৎ জয়াসুরিয়ার শিকার ৪৪০টি। স্পিনারদের মধ্যেও খুব সংক্ষিপ্ত এই তালিকা। সাকিবের আগে সব মিলিয়ে ৪০০ উইকেট ছিল মাত্র দশজনের। মুত্তিয়া মুরালিধরন (১৩৪৭), শেন ওয়ার্ন (১০০১), অনিল কুম্বলে (৯৫৬), হরভজন সিং (৭১০), ভেট্টরি (৭০৫), শহীদ আফ্রিদি (৫৩৩), সাকলায়েন মুশতাক (৪৯৬), সাঈদ আজমল (৪৪৭), জয়াসুরিয়া (৪৪০) ও গ্রায়েম সোয়ান (৪১০)। আইএইচএস/আরআইপি

Advertisement