ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ভোলায় বিনষ্ট হয়েছে ৫-৬শ হেক্টর জমির ফসল। তবে জেলার সাত উপজেলায় আংশিক ও সম্পূর্ণ মিলে ১০ হাজার ২৩৪ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হওয়া ফসলের মধ্যে বোর ধান, সয়াবিন, মুগ ডাল, ফেলন ডাল, চিনা বাদাম, মরিচ, আদা ও গ্রীস্মকালিন সবজি রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে চিনা বাদাম ও সয়াবিনের।
Advertisement
শনিবার (১৪ মে) ভোলা সদর উপজেলার আলী নগর ও শিবপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়নে ফসলের মাঠ ঘুরে ক্ষয়-ক্ষতির চিত্র দেখে গেছে। কোনো কোনো ক্ষেতে এখনও বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে।
শিবপুর ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের শিবপুর গ্রামের কৃষক মো. সালাউদ্দিন জানান, ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ১৬০ শতাংশ জমিতে সয়াবিন, চিনা বাদাম ও মরিচ লাগিয়েছি। বৃষ্টির পানি ক্ষেতে জমে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এখন ঋণ পরিশোধ করা নিয়ে চিন্তায় আছি।
একই ইউপির কৃষাণী নাসিমা আক্তার জানান, ৭২ শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে সয়াবিন করেছি। বৃষ্টিতে ক্ষেতের প্রায় অর্ধেক নষ্ট হয়েছে।
Advertisement
একই ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের কৃষক মো. জাকির জানান, ৮০ শতাংশ জমিতে মুগ ও ফেলন ডাল লাগিয়েছি। বৃষ্টিতে প্রায় অর্ধেক নষ্ট হয়েছে।
আলীনগর ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের কৃষাণী মরিয়ম বেগম জানান, ২০ শতাংশ জমিতে চিনা বাদাম করেছি। বৃষ্টিতে বাদাম নষ্ট হয়ে গেছে।
ভোলা সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সদর উপজেলায় তিন হাজার ৫০ হেক্টর জমির বিভিন্ন ধরনের ফসলের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। আর জেলায় সব মিলে ৫ থেকে ৬শ হেক্টর জমির ফসল পুরা বিনিষ্ট হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখনও চূড়ান্ত হিসেব করা হয়নি। তবে ক্ষতি যে টুকু হয়েছে তার আর্থিক পরিমাণ প্রায় ২৫ কোটি হতে পারে।
তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের তালিকা করা হবে। কোনো প্রণোদনা আসলে তাদেরকে দেওয়া হবে।
Advertisement
জুয়েল সাহা বিকাশ/এএইচ/জেআইএম