লক্ষ্মীপুরে অপহরণ মামলা করে বিপাকে পড়েছে এক কৃষক পরিবার। মামলা প্রত্যাহার করে নিতে আসামিরা বসত ঘরে হামলা, কুপিয়ে ও পিটিয়ে মা-ছেলেকে জখম করেছে। এখন তাদের হুমকির মুখে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি সদর উপজেলার বশিকপুর গ্রামের। অভিযোগ রয়েছে, মামলার আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। এতে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার বশিকপুর বাজারের পূর্ব পাশে কৃষক কালু মিয়ার মেয়ে সাজু বেগম সম্প্রতি নিজের জমিতে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে। সাজু সৌদি প্রবাসী মুরাদ হোসেনের স্ত্রী। ভবন নির্মাণ করতে দেখে স্থানীয় আবুল কাশেমের ছেলে সুমন ও শাহাব উদ্দিনের ছেলে শাহ আলমসহ কয়েক সন্ত্রাসী ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে চাঁদা না পেয়ে গত ৩ জানুয়ারি কালু মিয়ার ছেলে রুবেল হোসেনকে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে। পরদিন পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ৪ জানুয়ারি সাজু বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এরপর থেকে আসামিরা মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। মামলার প্রত্যাহার না করায় সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সুমন ৫-৬ জন সহযোগীকে নিয়ে কালু মিয়ার বসতঘরে হামলা করে ভাঙচুর চালান। একপর্যায়ে ফয়সাল হোসেনকে কুপিয়ে জখম করেন। এসময় বাধা দিতে গেলে তার মা নাজমা বেগমকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। ফয়সাল বশিকপুর ডিএস কামিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। ফয়সালের বড় ভাই রিয়াদ হোসেন জাগো নিউজকে জানান, অপহরণ মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ গ্রেফতার করছে না। মামলা তুলে নেয়ার জন্য অব্যাহত হুমকি দেয়ার বিষয়ে পুলিশকে জানিয়েও কোনো ফল আসেনি। বেপরোয়া সন্ত্রাসীরা তাদের বসতঘর ভাঙচুর করে তার ভাই ও মাকে কুপিয়ে জখম করেছেন। বর্তমানে সন্ত্রাসীদের ভয়ে তারা চরম, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।তিনি জানান, বাড়িতে হামলা ও পরিবারের সদস্যদের কুপিয়েও সন্ত্রাসীরা ক্ষান্ত হননি। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে তারা বাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছেন। এসময় কয়েকবার ঘরের দরজাতে ধাক্কা দেয়া হয়।এ ব্যাপারে দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বসত বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপহরণ মামলার আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান চলছে।কাজল কায়েস/এমজেড/এমএস
Advertisement