নতুন শিল্পনীতিতে আগের মতোই প্লাস্টিক খাতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার। এ খাতের প্রসার ও গুরুত্ব বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১১তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এমনটিই জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমুর হোসেন আমু।শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্লাস্টিক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি বিকাশমান শিল্পখাত। ২০১০ সালের জাতীয় শিল্পনীতিতে এ খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। নতুন শিল্পনীতিতেও সেটি করা হবে।তিনি বলেন, দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশের প্লাস্টিক ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে। দেশের বাজারে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার প্রতি বছর ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে। আমাদের প্লাস্টিক পণ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশি রফতানি হচ্ছে।আমুর হোসেন আমু বলেন, দেশে ছোট-বড় প্রায় ৫ হাজার প্লাস্টিক শিল্প রয়েছে। এ খাতে সরাসরি কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৫ লাখ মানুষের। পরোক্ষভাবে আরো প্রায় ১৩ লাখ মানুষ কাজ করছে। এখানে ১৮ হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত হচ্ছে।প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা পেলে ২০২১ সালে প্লাস্টিক পণ্য রফতানি ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলেও জানান শিল্পমন্ত্রী।প্লাস্টিক খাতকে দেশের উদীয়মান শিল্প হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকার এ খাতকে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত। এ জন্য একটি প্লাস্টিক শিল্পনগরী গড়ে তোলা হচ্ছে। পরিবেশ বান্ধব শিল্প স্থাপনে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।এ সময় একটি আধুনিক প্যাকেজিং আইন তৈরির অনুরোধ করেন সংগঠনের সভাপতি জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি এফবিসিসিআই সভাপতিও এর পক্ষে মত দেন। সংগঠনের সভাপতি জসিম উদ্দিন এতে সভাপতিত্ব করেন।বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)-এর আয়োজনে আন্তর্জাতিক এ প্লাস্টিক মেলা চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত।এসএ/আরএস/এমএস
Advertisement