আল্লাহর সবচেয়ে কাছাকাছি হওয়ার স্থান সেজদা। আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় ইবাদতও সেজদা। মুমিন বান্দার সেজদার দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করেন। আল্লাহর প্রিয় বান্দারা নামাজের সময় দুই সেজদার মাঝখানে আবেগঘন কিছু আবেদন করেন। এ চাওয়াগুলো সঙ্গে দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ জড়িত। সেই ৫ চাওয়া কী?
Advertisement
মুমিনের ৫ চাওয়া
এক সেজদা দিয়ে সোজা হয়ে বসে মুমিন নামাজি আল্লাহর কাছে ৫টি আবেদন করেন। যার প্রতিটি আবেদনই গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা যদি বান্দার এ ৫টি আবেদন কবুল করে নেন তবে ওই ব্যক্তির জীবনে আর কোনো কিছুর প্রয়োজন হয় না। আবেদনগুলো হলো-
১. اَللَّهُمَّ اغْفِرْلِىْ
Advertisement
উচ্চারণ : ’আল্লাহুম্মাগ ফিরলি’
অর্থ : ’হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দিন।’
২. وَارْحَمْنِىْ
উচ্চারণ : ’ওয়ার-হামনি’
Advertisement
অর্থ : ’আমার প্রতি রহমত দান করুন।’
৩. وَاهْدِنِىْ
উচ্চারণ : ’ওয়াহদিনি’
অর্থ : ’আমার প্রতি আপনার হেদায়েত দান করুন।’
৪. وَارْزُقْنِىْ
উচ্চারণ : ’ওয়ার-যুক্বনি’
অর্থ : ‘আমাকে রিজিক দান করুন।’
৫. وَعَافِنِىْ
উচ্চারণ : ’ওয়া আফিনি’
অর্থ : ’আমাকে সুস্থতা দান করুন।’
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কত চমৎকার দোয়াই না তাঁর উম্মতকে শিখিয়েছেন। যে চাওয়াগুলো পূরণ হলে কোনো মুমিনের জন্য আর কোনো কিছু পাওয়ার বাকি থাকে না। হাদিসের বর্ণনায়ও বিষয়গুলো এভাবে ওঠে এসেছে-
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই সেজদার মাঝে এ দোয়া পড়তেন-
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَعَافِنِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাগফিরলি, ওয়ারহামনি, ওয়া আফিনি, ওয়াহদিনি, ওয়ারযুকনি।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন; আমার প্রতি দয়া করুন। আমার সব ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করে দিন। আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমার রিজিক দান করুন।’ (আবু দাউদ)
সুতরাং সব নামাজির উচিত, প্রত্যেক নামাজের দুই সেজদার মাঝে উত্তম কথামালায় সজ্জিত ৫টি আবেদন আশা-ভয় ও আবেগ-ভালোবাসায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা।
আল্লাহ তাআলা সব নামাজিকে প্রত্যেক নামাজে এ আবেদনগুলো যথাযথভাবে করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম