ভারতের অন্ধ্র উপকূলে থাকা ঘূর্ণিঝড় 'অশনি' আরও দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও দুর্বল হয়ে বৃহস্পতিবারের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া বিভাগ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। অশনির প্রভাবে বুধবার (১১ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশের ৫ বিভাগে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
Advertisement
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-১৮) অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভারতের অন্ধ্র উপকূল ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি' উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি বুধবার সন্ধ্যা ৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক ১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে পরবর্তীসময়ে ১২ ঘণ্টার মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
‘ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।’
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে।
Advertisement
তবে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ বুধবার সন্ধ্যায় সর্বশেষ বুলেটিন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় অশনি দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও উত্তর ও উত্তরপূর্বে ইয়ানাম, কাকিনাদা ও তুনি উপকূলের দিকে এগিয়ে বৃহস্পতিবারের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
অন্যদিকে, ‘ভারি বর্ষণের সতর্কবাণী'তে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তীসময়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরণের ভারি (২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি (৮৯ মিলিমিটার বা এর বেশি) বর্ষণ হতে পারে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টা প্রায় সব বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে। রংপুর বিভাগে বৃষ্টির প্রবণতা কম ছিল। এ সময় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে, ১৬৯ মিলিমিটার।
বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকার আকাশে রোধ-মেঘের লুকোচুরি ছিল। দুপুর থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। রাত পর্যন্ত দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে। বুধবার ঢাকায় ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
Advertisement
আরএমএম/আরএডি