ফিচার

দুই কুকুরের বিশ্বরেকর্ড

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে যেমন বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য মানুষেরা নাম তোলেন, তেমনি পশু-পাখির নামও ওঠে এই তালিকায়। এবার গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তালিকায় যুক্ত হলো বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা কুকুরের নাম। জিউস নামের আমেরিকার গ্রেট ডেন প্রজাতির এক কুকুর সম্প্রতি এই রেকর্ডটি করে।

Advertisement

জিউসের উচ্চতা ১.০৪৬ মিটার অর্থাৎ প্রায় ৩ ফুট ৫.১৮ ইঞ্চি। এমন উচ্চতা হওয়ার জন্য এই কুকুরের নাম উঠে গিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। একই সঙ্গে সে সৃষ্টি করেছে নতুন বিশ্বরেকর্ড। যে এখন বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা জীবন্ত পুরুষ কুকুর।

বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা কুকুরের ভিডিও শেয়ার করা হয় টুইটারে। তা রীতিমত ভাইরাল হয়ে যায় খুব অল্প সময়ে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড তাদের অফিসিয়াল টুইটার প্রোফাইল থেকে শেয়ার করেছে ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে ওই কুকুরের বিভিন্ন কাণ্ড।

দুই বছর বয়সী জিউস বাস করে আমেরিকার টেক্সাস শহরে। জিউসের মালিক ব্রিটানি ডেভিস তাকে কিনেছিল মাত্র দুই মাস বয়সে। এর মধ্যেই সে গড়ে ফেলেছে বিশ্বরেকর্ড এবং নাম তুলেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে।

Advertisement

ডেভিস বলেন, প্রথমে যখন বাড়িতে নিয়ে আসা হয় কুকুরটিকে, তখনই সে অনেকটা লম্বা ছিল। ধীরে ধীরে তার উচ্চতা বাড়তে থাকে। বাদামি ও ধূসর রঙের কলোসাস কুকুরটিকে উচ্চতার কারণে প্রথম দর্শনে অনেকে ঘোড়াও মনে করেন।

অনেকে আবার উচ্চতার কারণে কুকুরটিকে দেখে ভয়ও পান। তবে জিউস খুবই শান্ত প্রকৃতির। বাসায় সবার সঙ্গে অনেক ভালো সম্পর্ক, এমনকি ডেভিসের সন্তানদেরও খেয়াল রাখে কুকুরটি।

সবচেয়ে বড় এ কুকুরটিকে প্রতিদিন ১২ কাপ জেন্টাল ডায়েটের (কুকুরের খাবার) পাশাপাশি মাঝে মাঝে ডিম ভাজা এবং বুলি স্টিকসও দেওয়া হয়। তবে বরফের টুকরা তার সবচেয়ে প্রিয় খাবার।

আরেক বিশ্বরেকর্ডধারী কুকুর লউ। মাত্র তিন বছর বয়সে গড়ে ফেলেছে বিশ্বরেকর্ড এবং নাম তুলেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। তবে সে জিউজের মতো উচ্চতা দিয়ে নয়, লম্বা কান দিয়ে রেকর্ডটি করে।

Advertisement

লউ বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা কানের জীবিত কুকুরের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০২১ সালে লউকে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা কানের কুকুরের স্বীকৃতি দেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।

যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন অঙ্গরাজ্যে বাস করা লউয়ের গায়ের রং কালো ও ধূসরের মিশেলে। লউয়ের কান ১৩ দশমিক ৩৮ ইঞ্চি লম্বা। বড় আকারের দুটো কান কুকুরটিকে বৈশ্বিক স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।

এত লম্বা কানের জন্য লউয়ের কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা নেই। লউয়ের মালিক ওলসেন পেশায় পশু চিকিৎসক। তিনি লউয়ের লম্বা কান দেখে সব সময়ই অবাক হয়েছেন। তবে কখনো লউয়ের কান মেপে দেখেননি।

করোনা মহামারির সময় লউকে অন্য জায়গায় আশ্রয় দেওয়ার প্রয়োজন দেখা দেয়। ওই সময় কুকুরটির কানের দৈর্ঘ্য মাপেন তিনি। এরপর রেকর্ডের জন্য আবেদন করেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে। গিনেস কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে বিশ্ব রেকর্ডের বইয়ে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা কানের জীবিত কুকুর হিসেবে লউয়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করে।

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস

কেএসকে/জিকেএস