আন্তর্জাতিক

বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশের খবর অস্বীকার

শ্রীলঙ্কার ফ্রন্টলাইন সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা দুমিন্দা নাগামুয়া দাবি করেন যে শ্রীলঙ্কার জনগণকে উসকে দিয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তবে এমন দাবি অস্বীকার করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষাপ্রধান ও সেনা কমান্ডার জেনারেল শাভেন্দ্র সিলভা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ মে) জেনারেল শাভেন্দ্র সিলভা বলেন যে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কোনো পরিস্থিতিতেই এই ধরনের অপমানজনক কাজ করবে না।

Advertisement

এর আগে সামরিক বাহিনীকে সরকারি সম্পত্তি লুণ্ঠন বা ব্যক্তির ক্ষতি করলে গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

এক বিবৃতিতে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, যারা দেশের সম্পদ ধ্বংস ও লুট করবে তাদের ওপর ফাঁকা গুলি ছুড়তে তিন বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে এ ঘোষণা আসে যখন বিক্ষুব্ধ জনতা একের পর এক প্রতিষ্ঠান ও ক্ষমতাসীন রাজনীতিকদের বাড়িঘরে হামলা চালাতে থাকেন। দুই দিনে ক্ষমতাসীন দলের এমপির বাড়িসহ অন্তত ৫০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা।

Advertisement

গত সোমবার (৯ মে) বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন মাহিন্দা রাজাপাকসে। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভ থামেনি। দুই দিনের সহিংসতায় এখন পর্যন্ত দেশটিতে আটজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও দুইশ জনের মতো।

বিদ্যুৎ বিভ্রাট, গ্যাস ও পানির তীব্র সংকট, খাদ্য সংকট, প্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশছোঁয়া দামসহ নানা সমস্যার বেড়াজালে আটকা পড়েছে দেশটির সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর এমন বিপর্যয়ের মুখে পড়েনি শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা, প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলছিল। চলতি সপ্তাহে দেশজুড়ে ঘটতে থাকে সহিংস ঘটনা। অগত্যা সরকার কারফিউ জারি করে রাজধানী কলম্বোসহ সর্বত্র।

এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকায় তৃতীয় দিনের মতো বুধবারেও দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিস আদালত বন্ধ রয়েছে দেশটিতে। কলম্বোর রাস্তায় টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বহু সদস্য।

সূত্র: কলম্বো গেজেট

Advertisement

এসএনআর/এমএস