বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে সরকার এক কোটি তালগাছের চারা লাগানোর যে পরিকল্পনা নিয়েছিল তা বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
Advertisement
বুধবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত আমরা’ শীর্ষক বিএসআরএফ সংলাপে তিনি এ তথ্য জানান।
বিএসআরএফ’র সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের উপস্থাপনায় সংলাপের সভাপতিত্ব করেন সভাপতি তপন বিশ্বাস।
২০১৬-১৭ সালে দেশে বজ্রপাতের ঘটনা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে যায়। ২০১৬ সালে দেশে বজ্রপাতে নিহত হন প্রায় সাড়ে ৪০০ মানুষ। এরমধ্যে একদিনেই মারা যান ৮২ জন। বিষয়টি তখন সংবাদমাধ্যমসহ সর্বত্র ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়।
Advertisement
এসব মৃত্যুর ঘটনায় কালবৈশাখী-ঘূর্ণিঝড়, বন্যা-জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্প-অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে নতুন দুর্যোগ হিসেবে যুক্ত হয় বজ্রপাত। বিষয়টি সরকারকে বেশ ভাবিয়ে তুলে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এটিকে নতুন দুর্যোগ হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যাপক আলোচনা ও পর্যালোচনা করে। এক পর্যায়ে বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে তালগাছের চারা লাগানোর পরিকল্পনা নেয় সরকার।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক কোটি তালগাছের চারা লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। ৩৮ লাখ তালগাছ লাগানোর পর দেখা গেলো যত্নের অভাবে গাছগুলোর বেশিরভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। এরপর আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এটা বাতিল করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, একটা তালগাছ উঁচু হতে ৩০-৪০, ৫০ বছরও লাগে। বজ্রপাত প্রতিরোধে এটা ততোটা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে না। এখন বজ্রপাত প্রতিরোধে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি প্রবর্তন হয়েছে। আমরা সেটাকেই এখন আমাদের দেশে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, আসন্ন বাজেটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
Advertisement
এমএএস/জেএইচ/জেআইএম