ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে চারদিন ধরে পটুয়াখালীতে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে নষ্ট হচ্ছে জমির ফসল। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মুগডালের ক্ষেত। পাশাপাশি মরিচ এবং চিনা বাদামেরও কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। ফলে লোকসানের মুখে পড়েছেন কৃষকরা।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উন্নতমানের বীজ, অনুকূল আবহাওয়া এবং প্রয়োজনীয় সার ও কীটনাশক ব্যবহারে এবার জেলায় মুগডালের ভালো ফলন হয়েছিল। এরই মধ্যে ৫২ শতাংশ ফসল তোলা হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে গত ৮ মে থেকে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা।
মাঠে থাকা পাকা খোসার ভেতরেই ডালে অঙ্কুরোদগম হচ্ছে। এছাড়া অনেক ডাল ক্ষেতেই খসে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে পরিবার পরিজন নিয়ে কৃষকরা মুগডাল তুলছেন। তবে এরপরও জমিতে থাকা তিন ভাগের এক ভাগ মুগডাল নষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার বহালগাছিয়া এলাকার কৃষক হযরত আলী বলেন, ‘এবার ৪০ শতক জমিতে মুগডাল চাষ করেছিলাম। লোক দিয়ে একবার মুগডাল তুলেছি। কিন্তু দ্বিতীয়বার তোলার আগেই তিনদিনের বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে গেছে। এতে খোসা ফেটে বেশিরভাগ মুগডাল বের হয়ে গেছে। ভালো ফলন হইলেও ঘরে তুলতে পারলাম না।’
Advertisement
আগে পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলে স্থানীয় জাতের মুগডাল চাষ হলেও বর্তমানে এ এলাকায় বারী মুগ-৬ সব থেকে বেশি চাষ করা হচ্ছে। ডালটি একবারে না পাকায় কয়েক ধাপে ডাল হাত দিয়ে তুলতে হয়। এ কারণে পরিবার পরিজন কিংবা বাড়তি মানুষ দিয়ে হাত দিয়ে ডাল সংগ্রহ করা হয়।
পটুয়াখালীর জেলা কৃষি কর্মকর্তা এ কে এম মহিউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, এ বছর পটুয়াখালী জেলায় ৮৬ হাজার ৪৩১ হেক্টর জমিতে মুগডাল, ৫ হাজার ৭৭৯ হেক্টর জমিতে চিনা বাদাম এবং ৬ হাজার ২শ ৪৯ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদ হয়েছিল। টানা বৃষ্টিতে মুগডালের পাশাপাশি চিনা বাদাম এবং মরিচের ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কৃষকদের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণের কাজ চলছে। তবে আবারো বৃষ্টি হলে কৃষকদের ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে। যেসব জমিতে মরিচ আবাদ হয়েছে এবং যেসব জমিতে পানি জমেছে দ্রুত নিষ্কাশনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আব্দুস সালাম আরিফ/এসজে/জেআইএম
Advertisement