ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলার ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সচেষ্ট রাখা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক টিম, রেডক্রিসেন্ট, স্কাউট, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে। মঙ্গলবার (১০ মে) সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।
Advertisement
তিনি বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার, সুপেয় পানি মজুত রাখা, উপকূলীয় এলাকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে আনার পূর্ব প্রস্তুতিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চোখ-কান খোলা রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাহিদ ইকবাল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা, পৌর কাউন্সিলর সালাহউদ্দিন সেতু ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে উত্তাল রয়েছে কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূল। গত দুদিন ধরে কক্সবাজারে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কক্সবাজারের সব মাছ ধরার ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদে অবস্থান করতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
Advertisement
অন্যদিকে ঈদের ছুটির রেশ কাটলেও কক্সবাজারে এখনো প্রচুর পর্যটক অবস্থান করছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কক্সবাজারে এখন ৩০ থেকে ৪০ হাজার পর্যটক অবস্থান করছেন। তাদের সৈকতে না নামতে বিভিন্ন সতর্কবার্তা দিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে উত্তাল সাগরে বড় বড় ঢেউয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় সাগরে গোসল করা নিরাপদ নয়। পর্যটকদের সাগরে না নামতে নিরুৎসাহ করা হয়েছে। বৈরী আবহাওয়া না কাটা পর্যন্ত বিরত থাকার বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, সৈকতে আসা পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে সভা হয়েছে। সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলার ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে।
সায়ীদ আলমগীর/এসজে/এমএস
Advertisement