ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে বরগুনায় দুদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় তরমুজ ক্ষেতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে পচে যাচ্ছে একরের পর একর জমির তরমুজ। বাধ্য হয়ে পরিপক্ক তরমুজ তুলে ফেললেও সেগুলো পচে যাচ্ছে। এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা।
Advertisement
মঙ্গলবার (১০ মে) বরগুনার বালিয়াতলী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, একরের পর একর তরমুজ ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত। কেউ কেউ ব্যস্ত ক্ষেত থেকে পানি সরাতে। আবার কেউ পাকা-আধাপাকা তরমুজ তুলতে ব্যস্ত। রাস্তার পাশে তরমুজের স্তূপ থাকলেও নেই পাইকার।
বালিয়াতলীর তরমুজ চাষি ফজলু গাজী জাগো নিউজকে জানান, এবার দেড় একর জমিতে তরমুজের আবাদ করেছিলেন তিনি। সার, ওষুধ, সেচ দিয়ে প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ করেছেন। ক্ষেতজুড়ে যেভাবে ফল আসতে শুরু করেছিল তাতে তার প্রায় পাঁচ লাখ টাকা লাভ হওয়ার কথা ছিল। তবে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে বৃষ্টি হওয়ায় ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। দুদিন ধরে পানি সরানোর চেষ্টা করেও পারেননি। এখন বাধ্য হয়ে পাকা ও আধাপাকা তরমুজগুলো বিক্রির জন্য ক্ষেত থেকে তুলে ফেলছেন।
বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়া ক্ষেত থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক তরমুজ তুলতে পেরেছেন চাষি জামাল মিয়া। তবে পাইকার না থাকায় বেচতে পারছেন না। পাইকাররা পানিতে নিমজ্জিত তরমুজ কিনতে চাচ্ছেন না। এতে তিন লাখ টাকার লোকসানের আশঙ্কা করছেন জামাল মিয়া।
Advertisement
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সদর উপজেলা কর্মকর্তা কবির মিয়া জাগো নিউজকে জানান, মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দিতে কৃষি কর্মকর্তারা পাশে রয়েছেন। ক্ষেত থেকে দ্রুত পানি সরিয়ে নিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে স্লুইস গেটগুলো খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এসআর/এএসএম