কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মারধর মামলায় জামিন পেয়ে বাদীর বসতঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আসামিদের বিরুদ্ধে।
Advertisement
সোমবার (৯ মে) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার সদর উত্তর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত যায়েদ আলীর স্ত্রী পাখি বেগমের দাবি।
মামলার বাদী পাখি বেগম বলেন, প্রতিবেশী দ্বিনু মিয়ার ছেলে বাবুল, সাহাবুদ্দিন, তাবারুকুল্লাদের সঙ্গে কয়েকদিন আগে কথাকাটাকাটির জেরে আমাকে এবং আমার স্বামীকে বেদম মারধর করে আহত করেন। আমার স্বামী বর্তমানে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (গৌরীপুরে) চিকিৎসাধীন। ওই মারধরের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি।
তিনি বলেন, সোমবার আসামিরা জামিনে এসে ক্ষুব্ধ হয়ে সন্ধ্যায় বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগসহ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যায়। রাত ৩টার দিকে ঘুমের মধ্যে শরীরে তাপ লাগলে হঠাৎ উঠে দেখি আগুন। চিৎকার দিয়ে বের হয়ে দেখি সাহাবুদ্দিনসহ কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছে। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন আসতে দেখে তারা পালিয়ে যায়।প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় মসজিদের মোয়াজ্জেম মোবারক মাস্টার জাগো নিউজকে বলেন, আমি সেহেরি খাওয়ার জন্য উঠতেই চিৎকার শুনি। দৌড়ে এসে পাখি বেগমের ঘরে আগুন দেখে মাইকে গ্রামবাসীর সহযোগিতার আহ্বান জানাই।
Advertisement
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ইউসুফ মিয়া বলেন, সাহাবুদ্দিন ও তাবারুকুল্লাহদের ভয়ে এলাকায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে তাদের নামে। জেলও খেটেছে। আমরা তাদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে চাই।
তবে হুমকি এবং আগুন দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে সাহাবুদ্দিন বলেন, আগুনের বিষয়টি পুরোটাই চক্রান্ত। ওই মারামারির ঘটনায় রোববার (৮ মে) আমিও মামলা করেছি। তাদের মামলায় আমরা জামিন পাওয়ায় আগুনের নাটক সাজিয়েছে। এলাকার লোকজন জানে আমরা কেমন মানুষ।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. নাজমুল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, পাখি বেগম ফোনে আগুনের ঘটনা জানিয়েছে। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। আর আগের মারামারির ঘটনায় দুইপক্ষই মামলা করেছে।
এমআরআর/এএসএম
Advertisement