রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে ৪০টি ট্রেন পরিচালিত হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দ্বারা। বছরে এই ট্রেনগুলো থেকে আয় হয়েছে ৯৮ কোটি ৬১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৯০ টাকা। কিন্তু কত টাকা খরচ হয় তা জানায়নি রেলপথ মন্ত্রণালয়। এজন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
Advertisement
মঙ্গলবার (১০ মে) সংসদ ভবনে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ হিসাব দেওয়া হয়। এসময় আলোচনা হয় রেলের আয়-ব্যয় নিয়ে।
বৈঠকে জানানো হয়, গত তিন অর্থবছর আগে বেসরকারি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত রেলে প্রতি কিলোমিটার যাত্রীপ্রতি খরচ হয়েছে ২ টাকা ৪৩ পয়সা। আর আয় হয়েছে ৬২ পয়সা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মালামাল পরিবহন বাবদ প্রতি কিলোমিটারে টনপ্রতি খরচ হয়েছে ৮ টাকা ৯৪ পয়সা। আর এসময়ে আয় হয়েছে ৩ টাকা ১৮ পয়সা। তবে এই হিসাবে সন্তুষ্ট নয় সংসদীয় কমিটি। তারা ট্রেনপ্রতি খরচের হিসাব চেয়েছে।
সংসদীয় কমিটিতে মন্ত্রণালয়ের দেওয়া কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, ট্রেনভিত্তিক খরচের হিসাব তৈরি করে না রেলপথ মন্ত্রণালয়। ‘রেলওয়ে কস্টিং প্রোফাইল’ এ ট্রেনের প্রতি কিলোমিটার চালানোর খরচ হিসাব করা হয়।
Advertisement
তবে বেসরকারি পর্যায়ে পরিচালিত ৪০টি ট্রেনের বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটির এক সদস্য বলেন, বেসরকারি খাতে দিয়ে যদি লস থাকে, তাহলে লিজ দেওয়ার তো কোনো মানে হয় না। রেলওয়ে নিজেই তো চালাতে পারে। আর আমরা আয়-ব্যয় উভয়ের হিসাব চেয়েছিলাম। সেটা তারা দেয়নি। এজন্য পরের বৈঠকে বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে।
এদিকে গত বৈঠকে কমিটির পক্ষ থেকে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ঈদের পর কোরিয়া, চীন কিংবা জাপানের রেলওয়ের কার্যক্রম দেখার জন্য সফরের ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছিল।
তবে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, কোরিয়া, জাপান ও চীনে করোনাভাইরাসের কারণে এখনো ভ্রমণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বিধিনিষেধ শিথিল হলে ভ্রমণ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Advertisement
কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, মো. সাইফুজ্জামান, এইচ এম ইব্রাহিম, গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ ও নাদিরা ইয়াসমিন জলি বৈঠকে অংশ নেন।
এইচএস/জেডএইচ/এমএস