বগুড়ার গাবতলীর তেলিগাতীতে দুর্বৃত্তের ছোড়া অ্যাসিডে ঝলসে গেছে তিন মাস বয়সী এক শিশু। সূর্য কর্মকার নামের ওই শিশুটি বর্তমানে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। শিশুটির সঙ্গে দগ্ধ হয়েছেন তার মা বীণা রানী কর্মকার (২২) ও দাদি দিপালী রানী কর্মকার।
Advertisement
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির শরীরের ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। অ্যাসিডে তার চোখের মণিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে শিশুটির মা ও দাদি আশঙ্কামুক্ত।
গত বৃহস্পতিবার (৫ মে) দিনগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে দগ্ধ তিনজনকে বগুড়ার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। শুক্রবার (৬ মে) সন্ধ্যার দিকে তাদেরকে ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধ শিশু সূর্যের বাবা সাগর কর্মকার। তিনি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার তেলিহাতি গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় সাগর একজন কামার।
Advertisement
দগ্ধ শিশুর মা বীণা রানী কর্মকার জাগো নিউজকে জানান, ঘটনার দিন রাতে তিন মাসের শিশুসন্তান নিয়ে বীণা রানী ও তার শাশুড়ি ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। শিশুর বাবা সাগর ও তার ভাই পাশের কক্ষে ছিলেন। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে হঠাৎ দুর্বৃত্তরা তাদের দিকে অ্যাসিড ছুড়ে। সকালের দিকে তাদেরকে বগুড়ার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ৬ মে ঢাকায় পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার (৬ মে) সন্ধ্যায় আমরা এখানে (শেখ হাসিনা বার্ন) ভর্তি হয়েছি। আমাদের অবস্থা ভালো। তবে আমার বাচ্চাটার অবস্থা খারাপ। ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। চোখে-মুখ ঝলসে গেছে।’
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইউব হোসেন বলেন, ‘শিশুটির মা ও দাদিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তারা আশঙ্কামুক্ত। তবে শিশুটির অবস্থা গুরুতর। তার মুখ, চোখ অ্যাসিডে দগ্ধ হয়েছে। শরীরের ১০ শতাংশ বার্ন হয়েছে। তবে কেমিক্যাল বার্ন হওয়ায় অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার চোখের মণিও দগ্ধ হয়েছে। তাকে চোখের ডাক্তার দেখাতে বলা হয়েছে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে শিশুর মা ও দাদি ভালো আছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করেছি।’
Advertisement
কাজী আল-আমিন/এএএইচ/এএসএম