ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে মৌলভীবাজারে মধ্যরাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে বোরো ধান কেটে ঘরে তুলতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাওরপারের কৃষকরা।
Advertisement
হাওর কাউয়াদীঘির নিম্নাঞ্চলের ৮৫ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। তবে অশনির প্রভাবে বৃষ্টিতে ১৫ ভাগ ও নন হাওরের ৭০ ভাগ ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা।
কৃষকরা জানিয়েছেন, তারা হাওরের বাইরে ৩০ ভাগ পাকা ধান কাটতে পেরেছেন। তবে এখনো ৭০ ভাগ ধান কাটতে বাকি রয়েছে। বাকি এ ধান কাটতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে হাওর কাউয়াদীঘিতে বোরো উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ১৮০ হেক্টর, নন হাওরে ৬ হাজার ৫৫০ হেক্টর। কাউয়াদীঘি ও হাওরের আশপাশে মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১৩ হাজার ৭৩০ হেক্টর। তবে কৃষি বিভাগের দাবি, হাওরে ৯৫ ভাগ ধান কাটা শেষ। নন হাওরে দেরিতে লাগানো ৪০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। হাওরপারের কাশিমপুর গ্রামের কৃষক আনসার আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার এখনো ৪০ বিঘা ধান কাটা বাকি রয়েছে। কাটা অবস্থায় ধানের আঁটি ক্ষেতে পড়ে রয়েছে। বৃষ্টির কারণে হাওরের রাস্তাঘাটে কাদা জমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।’
Advertisement
হাওরপারের রক্তা গ্রামের বাবর মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, মাঝরাত থেকে অশনির প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কৃষকরা কাটা ধান নিয়ে হাওরে ডেরাতে (অস্থায়ী বাসা) আটকা পড়েছেন। বৃষ্টিতে ভেজা ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। হাওরপারের পাঁচগাও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের কৃষক মজনু মিয়া। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘কাটা ধান ঢেকে রেখেছি। ভেজা ধান ঘরের মধ্যে মেলে দিয়েছি। দুদিনের মধ্যে যদি বৃষ্টি না থামে তাহলে আমার ৬০ মণ ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে আরও দু-একদিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ধান ঘরে তুলতে কৃষকদের কষ্ট হবে। তবে ক্ষতির আশঙ্কা কম। আব্দুল আজিজ/এসআর/এএসএম
Advertisement