জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান পলাতক আসামি চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ ৫ জনকে হাজির করতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ মে) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন।
Advertisement
পলাতক অপর চার আসামি হলেন- আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনায়েদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের। এছাড়া মামলায় অপর চার আসামি রশিদুন নবী ভূঁইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ কারাগারে রয়েছেন।
এদিন (মঙ্গলবার) ক্রোক তামিলের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর তাদের আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির আদেশ দেওয়া হয়। আগামী ১৫ জুনের মধ্যে দুটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তার কপি আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি মেজর জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত। পাঁচ আসামি পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পলাতক পাঁচজনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।
Advertisement
২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় মেসে ফেরার পথে ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেন দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।
জেএ/কেএসআর/এএসএম