জাতীয়

ভোটার তালিকা হালনাগাদ: প্রশিক্ষণ শুরু মঙ্গলবার

আগামী ২০ মে থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। হালনাগাদ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তিন সপ্তাহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি, ২০২২ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১০ মে) শুরু হবে ‘প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ।

Advertisement

সোমবার (৯ মে) নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক মো. আবদুল বাতেন জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৯ টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।

Advertisement

ইসি জানায়, ভোটার তালিকার কাজ শুরুর পর ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম এমন নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরপর ছবি, বায়োমেট্রিক ও চোখের আইরিশের জন্য কেন্দ্র ঠিক করে সেখানে নেওয়া হবে।

এর আগে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জাগো নিউজকে বলেন, কোভিডের কারণে গত বছর নতুন ভোটারদের তথ্য নিতে পারেনি ইসি। এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্য নাগরিকদের তথ্য নেওয়া হবে।

ইসির হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, গত ২ মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন, নারী ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন। এ হিসাবে এখন দেশে মোট ভোটারের ৫০ দশমিক ৯২ শতাংশ পুরুষ আর নারী ৪৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। গত এক বছরে (১৯ জানুয়ারি, ২০২২ পর্যন্ত) নতুন ভোটার হয়েছেন ১৪ লাখের কিছু বেশি। এর ৬৯ শতাংশই পুরুষ, নারী মাত্র ৩১ শতাংশ।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, ভোটার হওয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া। যে কেউ নির্বাচন কমিশনে গিয়ে তথ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে ভোটার হতে পারেন। তবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার করলে সহজেই ভোটার হওয়া যায়। কোনো তদন্ত লাগে না। নির্ভুল এনআইডি পেতে ভোটারদের লক্ষ্য রাখতে হবে ফরম-২’তে। এখানে তথ্য ভুল দিলে জাতীয় পরিচয়পত্রেও ভুল আসছে। এ সময়ের মধ্যে ভোটারের এলাকার স্থানান্তর করতে পারবেন। আর মৃত ভোটারদের নামও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।

Advertisement

এইচএস/এমএএইচ/এএসএম