অর্থনীতি

৪২ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টায় জরিমানা ৮৮ লাখ

৪২ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টায় ৮৮ লাখ টাকা অর্থদণ্ড গুনতে হয়েছে বংশালের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স এন বি ট্রেডিং হাউজকে। ঘোষণার অতিরিক্ত পণ্যের শুল্ক ও জরিমানাসহ প্রায় ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আদায় করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ।

Advertisement

এর আগে কোটেড ক্যালসিয়াম কার্বনেট ঘোষণা দিয়ে চীন থেকে ১২০ মেট্রিক টন ডেক্সট্রোজ মনোহাইড্রেট আমদানি করে প্রতিষ্ঠানটি। চালানটিতে ৪২ লাখ ১৩ হাজার টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করা হয় বলে জানিয়েছে কাস্টম।

কাস্টম সূত্রে জানা গেছে, কোডেট ক্যালসিয়াম কার্বনেট ঘোষণা দিয়ে ১২০ টন ডেক্সট্রোজ মনোহাইড্রেট আমদানি করে মেসার্স এন বি ট্রেডিং হাউজ। গত ১৮ মার্চ পণ্যের চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। ৩০ মার্চ চালানটি খালাসের জন্য আমদানিকারকের পক্ষে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শেখ মুজিব রোড এলাকার সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান এম এন এন্টারপ্রাইজ কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে।

তবে আমদানিকারকের ব্যবসায়িক ধরনের সঙ্গে মিল না থাকায় মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির বিষয়ে ধারণা পায় চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা। এরপর চালানটির খালাস স্থগিত রাখতে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি লক করে দেয় এআইআর শাখা। গত ৬ এপ্রিল চালানটি বন্দরের ভেতরে খুলে এআইআর টিম পরীক্ষা করে দেখতে পায়, প্যাকেটের গায়ে সাদা কাগজে ‘কোডেট ক্যালসিয়াম কার্বনেট’ লেখা। কিন্তু বস্তা খোলার পর সাদা পলিথিনের বস্তায় লেখা রয়েছে ‘ডেক্সট্রোজ মনোহাইড্রেট’।

Advertisement

এ চালানে ঘোষিত বিবরণ অনুযায়ী শুল্ক কর ছিল ৬ লাখ ৮২ হাজার ৭৩৩ টাকা। কিন্তু আনুমানিক শুল্কায়ন যোগ্য মূল্য ছিল ৫৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। পরে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অপরাধে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ৮৮ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. শরফুদ্দিন মিঞা রোববার বিকেলে জাগো নিউজকে বলেন, পণ্যের চালানে ৫ কন্টেইনারে ৪ হাজার ৮০০ বস্তা পণ্যের শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। কায়িক পরীক্ষায় দেখা গেছে, ব্রাউন কালারের বস্তাগুলোর ওপর আঠা দিয়ে সাদা কাগজে প্রিন্ট করে কোটেড ক্যালসিয়াম কার্বোনেট লেখা লাগানো রয়েছে। কিন্তু বস্তা খোলার পর সাদা পলিথিনের বস্তায় ঘোষিত পণ্যের পরিবর্তে ডেক্সট্রোজ মনোহাইড্রেট পাওয়া যায়। চালানটিতে হিসাব অনুযায়ী ৪২ লাখ ১৩ হাজার টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে মিথ্যা ঘোষণার জন্য ৮৮ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। আমদানিকারকের কাছ থেকে অর্থদণ্ড, জরিমানা, কায়িক পরীক্ষায় প্রাপ্ত পণ্যের শুল্ককরসহ সবমিলিয়ে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৫৯ টাকা আদায় করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ইকবাল হোসেন/এমএইচআর/জিকেএস

Advertisement