ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে লিফট ছিঁড়ে রোগীসহ আটকা পড়া পাঁচজনকে আড়াই ঘণ্টা পর দরজা কেটে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টায় রোগী নিয়ে উঠার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, ত্রিশাল উপজেলার ধানিখলা গ্রামের জসিম উদ্দিন (৫০) সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাতকাটা অবস্থায় সোমবার হাসপাতালের ১৯নং ওয়ার্ডে ভর্তি হন। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে জসিম উদ্দিনকে ড্রেসিং করার জন্য জরুরি বিভাগ সংলগ্ন ৯নং ওয়ার্ডের দুই তলায় লিফটে উঠার সময় হঠাৎ তার ছিঁড়ে যায়। এতে লিফটি নিচে পড়ে ধাক্কা খেয়ে আবার উপরে উঠে যায়। এসময় লিফটের ভেতরে থাকা রোগীর স্ত্রী আনোয়ারা পারভীন (৪২) লিফটের নিচে ছিটকে পড়লেও অপর চারজন ভেতরে আটকা পড়েন। খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট এবং র্যাব ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শহিদুর রহমান জানান, লিফটের ভেতরে ট্রলি থাকায় দরজা ভাঙ্গা সম্ভব হয়নি। এজন্য উদ্ধার কাজ কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। তবে আটকা পড়াদের যাতে শ্বাসকষ্ট না হয় সেজন্য কিছুক্ষণ পর পর অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়েছিল। এক পর্যায়ে লিফটের দরজা কেটে দেড় ঘণ্টা পর জসিমের দুই সন্তান শিহাব (১৪) ও সুমীকে (১২) উদ্ধার করা হয়। ভেতরে ট্রলি থাকায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর রোগী জসিম উদ্দিন ও তার ছেলে শাহীনকে উদ্ধার করা হয়। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জসিমের বড় ভাই মজিবর জানান, জসিমের ছেলে শাহীন (২২) ভাওয়াল গাজীপুর বদরে আলম কলেজ অনার্সের ছাত্র। শিহাব (১৪) ও সুমী (১২) ময়মনসিংহ শহরের মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক লক্ষী নারায়ন মজুমদার জানান, লিফটে আটকা পড়া সবাই সুস্থ আছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলেও জানান তিনি।মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, হাসপাতালের উপ-পরিচালক আবুল আহসানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দশ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। আতাউল করিম খোকন/এআরএ/আরআইপি
Advertisement