নিউ ইয়র্ক সিটিতে ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে বিশাল আয়োজনে হয়ে গেল বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানটি। আমি খুবই আনন্দিত যে সৌভাগ্যক্রমে বিশ্বভ্রমণের প্রাক্কালে এই সময়টিতে আমি নিউ ইয়র্কে ছিলাম এবং শেষ মুহূর্তে টিকিট কিনেছিলাম।
Advertisement
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে এই ম্যাডিসন স্কোয়ার থেকে ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ নামে একটি কনসার্ট আয়োজন করা হয়। ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট রবিবার ২.৩০ এবং ৮.০০ অপরাহ্নে নিউ ইয়র্ক সিটির ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে প্রায় ৪০,০০০ দর্শকের উপস্থিতিতে এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক বিটল্স সঙ্গীতদলের লিড গিটারবাদক জর্জ হ্যারিসন এবং ভারতীয় সেতারবাদক রবিশঙ্কর কর্তৃক সংগঠিত দুটি বেনিফিট কনসার্ট ছিল সেটি। এই প্রদর্শনী পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) শরণার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক সচেতনতা এবং তহবিল ত্রাণ প্রচেষ্টা বাড়াতে, মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ-সম্পর্কিত বাংলাদেশের নৃশংসতার ফলে সাহায্যের উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়েছিলো।
ঠিক তেমনি মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে ‘Let the Music Speak‘ - Golden Jubilee Bangladesh’ কনসার্ট আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। হাজার হাজার আমেরিকানদের টিকিট কেনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি দারুণভাবে সফল হয়।
অনুষ্ঠান উদ্বোধনের একটু পরেই গিয়েছিলাম, আমি যখন ওখানে পৌঁছাই তখন বাংলাদেশের চিরকুট নামে একটি দল গান গাইছিল। সবচেয়ে চমৎকার একটা ব্যাপার ছিল যেটা তিন মিনিটের একটা প্রেজেন্টেশন। যেখানে বাংলাদেশের উন্নয়নকে প্রেজেন্ট করা হয়। চমৎকার একটা প্রেজেন্টেশন ছিল যেখানে আমরা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ কী করছে সেটা তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছি। তবে বাংলাদেশ থেকে যদি ন্যাশনাল পর্যায়ে কোন হার্ডরক সিঙ্গারকে নিয়ে আসা হতো আমার মনে হয় আমরা আরো ভালো করতাম। কথার থেকে আমরা গানের মাধ্যমে কিন্তু বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে পারতাম আরো ভালোভাবে।
Advertisement
তবে এস্করপিয়ন ব্যান্ড তাদের গান দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে মুগ্ধ করেছে এবং তাদের গানের সময় তালে তালে প্রতিটি দর্শক নেচেছে যা সত্যিই দেখার মতো এবং প্রশংসনীয়। বাংলাদেশের একটা প্রোগ্রামে এত আমেরিকান থাকতে পারে ভাবা যায়!
লেখক: বাংলোদেশের পাসপোর্ট নিয়ে ১২৫ দেশ ভ্রমণকারী পর্যটক।
এইচআর/এমএস
Advertisement