চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ইতিমধ্যে ২ ম্যাচ জিতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে টিম বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচ জিততে পারলেই সিরিজ জয় নিশ্চিত। তবে, টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বলা হচ্ছিল পরীক্ষা-নীরিক্ষার কথা। সেই পরীক্ষা-নীরিক্ষায় এবার যোগ হতে পারে পাঁচটি নাম। অথ্যাৎ প্রথম দুই ম্যাচের দলে অন্তত চার থেকে পাঁচটি পরিবর্তণ আসছে এটা প্রায় নিশ্চিত।একাদশ ঘোষণা হয় সাধারণত ম্যাচ শুরুর আগে। তবে, আগে থেকেই অনেকেই আঁচ করার চেষ্টা করেন- পরবর্তী ম্যাচে একাদশটা কেমন হতে পারে। বাংলাদেশ দলের এখন যা পরিস্থিতি, তাতে তো চারটি পরিবর্তণ নিশ্চিতই। কারণ, বিশ্রাম দেয়া হয়েছে পেসার আল আমিন এবং মুস্তাফিজুর রহমানকে। ইনজুরির কারণে দল থেকে ছিটকে গেছেন মুশফিকুর রহিম। আর শুভাগত হোমকে নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা সম্ভবত করা হয়ে গেছে। প্রথম দুই ম্যাচ খেলানো হয়েছে তাকে। এ কারণে, শেষ দুই ম্যাচের দলে নেই তিনিও।এই চারটি জায়গায়তো পরিবর্তণ আসবেই। সে ক্ষেত্রে কারা কার পরিবর্তিত হিসেবে দলে ঢুকবেন, সেটাই এখন জ্বল্পনার বিষয়বস্তু। আল আমিন আর মুস্তাফিজ না থাকয় বিপিএলের আবিস্কার তরুন তুর্কী আবু হায়দার রনির দলে আসাটা প্রায় নিশ্চিত। অভিষেকের ক্যাপ আগামীকালই (বুধবার) তার মাথায় উঠে যাচ্ছে। মুশফিকের পরিবর্তে দলে ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে ইমরুল কায়েসের। কিংবা এ জায়গায় অভিষেক হতে পারে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতেরও। শুভাগত হোমের জায়গায় দলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে আরাফাত সানির। রনির অভিষেক হলেও পেসারদের জন্য বাকি জায়গাটি কাকে দিয়ে পূরণ করা হবে। ধারণা করা হচ্ছিল পেসার মোহাম্মদ শহীদের অভিষেক প্রায় নিশ্চিত; কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) অনুশীলনের শেষ দিকে মুশফিকের পরিবর্তে দলে ঢোকা তাসকিনকে নিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি, কোচ হাথুরুসিংহে এবং নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের বিশেষ আলোচনা এবং কোচের বিশেষ পরিচর্যা দেখে মনে হচ্ছে, শহীদকে হয়তো অপেক্ষায় থাকতে হবে। দলে সুযোগ মিলে যেতে পারে তাসকিনেরেই। চমক আসতে পারে আরও একটি। সেটা মোসাদ্দেক হোসেনের জন্যই হয়তো। এই তরুণ তুর্কীকে পরখ করে নেয়ার জন্য সবচেয়ে বড় চমকটি উপহার দিতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। গত বছর বাংলাদেশ দল দারুন সাফল্য পেলেও নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে ওপেনার তামিম ইকবালকে। তবুও কোন ম্যাচে তাকে বিশ্রাম দেয়া হয়নি। পরীক্ষা-নীরিক্ষার এই ম্যাচে হয়তো বিশ্রাম দেয়া হতে পারে তামিমকেও। সে ক্ষেত্রে সৌম্যের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করবেন ইমরুল কায়েস। সুতরাং, তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দেখা যেতে পারে সম্পূর্ণ নতুন এক বাংলাদেশকে। এই রদবদলের ম্যাচেও ফেভারিটের মত খেলতে চান সৌম্য। তিনি বলেন, ‘ছন্দ নষ্ট হতে পারে, এমন কিছু আমরা ভাবছিও না। নতুনরা বরং নিজেদের প্রমাণ করতে চাইবে। প্রতি ম্যাচের মতোই জয়ের জন্য মাঠে নামব আমরা। আমাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলেই জিততে চাই।’আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement