আইন-আদালত

৬ জনের মৃত্যুদণ্ডে হাইকোর্টের বিভক্ত রায়

বাগেরহাটের পরশু নদীতে র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের তিন সদস্যকে হত্যা মামলায় ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং সাত জনের যাবজ্জীবন দণ্ডের বিষয়ে বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ, জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিলের শুনানি করে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম সকল আসামিকে খালাস এবং বেঞ্চের অপর সদস্য বিচারপতি মো. ফারুক (এম ফারুক) আসামিদের যাবজ্জীবন দণ্ড ঘোষণা দেন।নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য এখন প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। প্রধান বিচারপতি মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে দেবেন। মঙ্গলবার আদালতে এক আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট প্রবীর হালদার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুজ্জামান (রুবেল) ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম আজাদ। পলাতকদের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মমতাজ বেগম। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১ ডিসেম্বর গোপন সূত্রে ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়ার খবর পেয়ে অভিযানে যায় র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের একটি দল। এ সময় সুন্দরবন সংলগ্ন পশুর নদীতে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হলে এক পর্যায়ে ডাকাতদের কোণঠাসা করে তাদের ট্রলারে উঠে পড়েনর‌্যাব ও কোস্টগার্ড সদস্যরা।ট্রলারে ডাকাতদের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে আসামিরা কোস্টগার্ড সদস্য এমএইচ কবির, এমএ ইসলাম ও র‌্যাব সদস্য পিসি কাঞ্চনকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন।পরদিন পশুর নদী থেকে ওই তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একই বছরের ২ ডিসেম্বর র্যাব-৬ এর তৎকালীন ডিএডি মহসিন আলী অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মংলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৮ মে ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এ সময় ৬ জন গ্রেফতার ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ১৯ আগস্ট বাগেরহাটের দায়রা জজ এস এম সোলায়মানের আদালত ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং সাতজনকে যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ দেন। বাকি দু’জনকে খালাস দেয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন; রফিকুল শেখ, কুদ্দুস শেখ, ইদ্রিস শেখ, বাবুল শেখ, আলকাস ফকির ও ইলিয়াস শেখ। যাবজ্জীবন দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, রিয়াজুল শেখ, আকরাম শেখ, আলম শেখ, বাদশা শেখ, জামাল শেখ, কামাল শেখ, আসলাম শেখ। খালাস পাওয়া দুজন হলেন, নান্না শেখ ও মিজানুর রহমান। এর মধ্যে গ্রেফতার ছয় আসামি জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন। তবে পলাতক আসামি ইলিয়াস শেখ আত্মসমর্পণ করে হাইকোর্টে আপিল করেন।এফএইচ/এসএইচএস/আরআইপি

Advertisement