লাইফস্টাইল

কান দেখেই চিনে নিন কে কেমন!

মানব শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তার নানা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানান দেয়। মানুষের ঠোঁট, নাক ও মুখের আকৃতি এমনকি কান দেখেও টের পাওয়া যায় কার ব্যক্তিত্ব কেমন!

Advertisement

কারো কানের লতি গোলাকার, কারো আবার প্রশস্ত কিংবা মুখের সঙ্গে সংযুক্ত। একেক ধরনের কানের লতিও কিন্তু মানুষের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানান দেয়। তবে জেনে নেওয়া যাক-

>> যাদের কানের লতি নিচ থেকে মুখের সঙ্গে সংযুক্ত, তারা হৃদয়বান। বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চনের কানও সংযুক্ত ধরনের।

এমন কানের লতিযুক্ত মানুষেরা অন্যদের প্রতি খুব সহানুভূতিশীল হন। তারা কিছুটা অন্তর্মুখী স্বভাবের হন। নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করেন।

Advertisement

>> প্রশস্ত কান যাদের, তারা খুব খোলা মনের ও শান্ত স্বভাবের হন। তারা সব পরিস্থিতিতেই মানিয়ে নিতে পারেন। এমন ব্যক্তিরা বহির্মুখী প্রকৃতির হন।

তারা অন্যদের সঙ্গে মিশতে পছন্দ করেন। এমনকি তারা অন্যদেরও হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করেন।

>> যাদের কানের লতি কিছুটা সরু, তারা শান্ত স্বভাবের হন। তারা যে কোনো কথা বলার আগে দু’বার ভাবেন।

তবে ঠোঁটকাটা স্বভাবের হওয়ায় তাদের কথায় অনেকের মুখের হাসি ম্লান হয়ে যায়। এমন ব্যক্তিরা অযথা গল্প করা কিংবা খোশগল্প একেবারেই পছন্দ করেন না।

Advertisement

>> যাদের কানের আকৃতি খুবই সুন্দর ও সূক্ষ্ম, তারা হন শার্লক হোমসের মতো। এমন ব্যক্তিরা হন অত্যন্ত উপলব্ধিশীল, পর্যবেক্ষণশীল ও পরিপূর্ণতাবাদী।

সূক্ষ্ম কানযুক্ত লোকেরা যেভাবে সবকিছু চিন্তা করেন, তা অন্যরা করতে পারেন না। এমন ব্যক্তিরা সবকিছুই নিঁখুতভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করেন।

>> যাদের কানের লতি গোলাকার, তারা খুব অনুগত প্রকৃতির হন। এমন ব্যক্তিরা যাদের উপর নির্ভর করেন, তাদের কাছ থেকেও একই ধরনের আনুগত্য আশা করেন। যদি তেমনটি না হয়, তবে তারা বিশ্বাসঘাতককে কখনো ক্ষমা করেন না।

>> বর্গাকার আকৃতির কানের লতি খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে অস্বাভাবিক আকৃতির কানের লতিযুক্ত ব্যক্তিরা সৃজনশীল ও বৃদ্ধিমান প্রকৃতির হন।

>> যাদের কানের উপরের অংশ ছড়ানো, তারা নানাভাবে অন্যের হাসির পাত্র হন। বন্ধুমহলে অনেকেই ছড়ানো কানের জন্য কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্যের শিকার হন।

তবে যাদের এমন কান আছে, তারা বেশ কৌশলী ও আত্মনির্ভরশীল প্রকৃতির হন। তাদের বোঝা অন্যের জন্য বেশ কঠিন। তাদের ব্যক্তিত্ব বেশ রহস্যময়।

সূত্র: হার জিন্দেগি

জেএমএস/এসইউ/এমএস