দলের সিনিয়র এমপিদের তোপের মুখে পড়ে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের বৈঠক থেকে বেরিয়ে গেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। জাতীয় সংসদ ভবনে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে। দুপুর সোয়া ৩টায় বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের সভাপতিত্বে বৈঠকটি শুরু হয়। এর ১৫ মিনিট পর বৈঠকে যোগ দেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। কিন্তু বৈঠকে সিনিয়র নেতারা এরশাদের কাছে জানতে চান- কেন জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান আর রুহুল আমিন হাওলাদারকে কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব করা হল। আর সর্বশেষ জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে কেন সরিয়ে হাওলাদারকে মহাসচিব করা হলো?এসবের কোনো উত্তর দিতে পারছিলেন না এরশাদ। বরং তিনি রেগে যান। এক সময় তিনি বৈঠক থেকে বেরিয়েও যান। এ সময় তার সঙ্গে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারও বের হয়ে যান বলে জানিয়েছে বৈঠক সূত্র।সূত্র আরো জানায়, এরশাদ বেরিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ বলেন, আপনি জাতীয় পার্টিকে তছনছ করছেন। এভাবে একটি দল চলতে পারে না। আশা করি আপনি তা বুঝবেন। এরশাদ বেরিয়ে যাওয়ার পরও প্রায় ৪০ মিনিট বৈঠক চলে। বৈঠকে এরশাদের সব সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, সংসদীয় বৈঠকে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনের জন্য সংসদীয় দলের নেতা রওশন এরশাদকে যৌথ সভা ডাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এবং সেখানে বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়ার অনুরোধ জানালে তিনি সায় দিয়েছেন।প্রসঙ্গত, ১৭ জানুয়ারি রোববার রংপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ছোট ভাই জিএম কাদেরকে পার্টির কো-চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন এরশাদ। একই সঙ্গে কাউন্সিলের জন্য জিএম কাদেরকে আহ্বায়ক ও সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে সদস্য সচিব করে প্রস্তুতি কমিটি ঘোষণা করেন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলের সিনিয়র নেতারা পরদিন রওশন এরশাদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন।এরপর মঙ্গলবার রংপুর থেকে ফিরে দুপুরে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে সরিয়ে দিয়ে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব করেন এরশাদ।এইচএস/এসএইচএস/আরআইপি
Advertisement