রাজনীতি

রওশনের সঙ্গে বিরোধ নেই : এরশাদ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, সহধর্মিণী রওশনের সঙ্গে তার কোনো বিরোধ নেই।  মঙ্গলবার দুপুরে দলের বনানী কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।এরশাদ বলেন, স্ত্রী রওশন এরশাদের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। তিনি সংসদ চালাবেন, আমি পার্টি চালাবো। আজ সংসদীয় দলের বৈঠক রয়েছে, সেখানেও আমি থাকবো। আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই।’রওশন প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, ‘আমার স্ত্রী প্রেসিডিয়ামের কোনো বৈঠক ডাকেন নি। সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাকে দিয়ে তারা স্টেটমেন্ট দেওয়ানোর চেষ্টা করেছিল। উনি স্টেটম্যান্ট দেন নি। এই পার্টিকে কেউ বিভক্ত করতে পারবে না।’এর আগে ছোটভাই জি এম কাদেরকে পার্টির কো-চেয়ারম্যান নিযুক্ত করায় এরশাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে পাল্টা কমিটি করেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদপন্থীরা। রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণার ১৮ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে পার্টির মহাসচিব পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে সেই পদে সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে নিয়োগ দেন।হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, ‘ আমি হাওলাদারকে সরিয়ে বাবলুকে মহাসচিব করেছিলাম। বাবলু ২ বছরে একদিনও দলের বর্ধিত ও প্রেসিডিয়ামের সভা ডাকতে পারেনি। তিনি হঠাৎ করে পার্টির প্রেসিডিয়াম  ও বর্ধিত সভা ডাকতে পারেন না। তিনি পার্টিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। তাকে মহাসচিব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দলে ভাঙনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে এরশাদ বলেন, ‘অসম্ভব জাপা ভাগ হবে না। আমি জাপার চেয়ারম্যান। যারা এর আগে চলে গেছে, তাদের সঙ্গে ৮-১০ জন লোকও যায়নি। যে দুই জন (ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু) দলে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন, তাদের সঙ্গেও কেউ নেই। আজকের ঘটনায় জাপায় নবজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।’হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, ‘জি এম কাদের পার্টির কো-চেয়ারম্যান। আমি তাকে যেটুকু দায়িত্ব দেবো তিনি ততোটুকুই পালন করবেন। আর হাওলাদার এর আগেও তিনটি কাউন্সিল সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। তার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই তাকে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব নির্বাচিত করা হয়েছে।’এরশাদ আক্ষেপ করে বলেন, ‘সর্বশেষ কাউন্সিলে কাজী জাফরকে চেয়ারম্যান ও হাওলাদারকে সদস্য সচিব করেছিলাম, এর আগে ব্যারিস্টার আনিসকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেছিলাম, হাওলাদারকে সরিয়ে দিয়েছিলাম, তখন তো গঠনতন্ত্রের কথা বলা হয়নি। এখন কেন বলা হচ্ছে, আমি পার্টির চেয়ারম্যান। আমার ক্ষমতা রয়েছে। আমি ৩৯ ধারা মোতাবেক যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি। পরে সেটা প্রেসিডিয়ামে পাস করিয়ে নেবো।’প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের পদ ছাড়ার বিষয়ে এরশাদ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে সম্মান করেন। আমাকে সম্মানিত করেছেন। আমি উনাকে (প্রধানমন্ত্রী) বলবো, আমাকে ছেড়ে দিন। আমি সারাদেশ ঘুরে বেড়াবো, পার্টিকে শক্তিশালী করবো। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবো।’এএম/এসএইচএস/আরআইপি

Advertisement