হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সর্দার নিয়োগ নিয়ে দুপক্ষের ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৫ মে) সকালে উপজেলার সৈদরটুলা মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সৈদরটুলা ছান্দের সর্দার নিয়োগ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া এবং অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলামের পক্ষের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে গুলির ঘটনায় ধন মিয়াকে আটকের চেষ্টা চলছে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে তা কত পরিমান সেটি এখনও হিসাব করা হয়নি।
এলাকাবাসী জানায়, সৈদরটুলা ছান্দের অধিন সাতটি মহল্লা রয়েছে। এ ছান্দের বেশ জমি ও জলমহাল রয়েছে। যা থেকে বছরে অন্তত দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা আয় হয়। তাই এর সর্দার হওয়া নিয়ে অনেকেরই আগ্রহী থাকে। ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এ ছান্দের সর্দার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। এলাকাবাসী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলামকে সম্প্রতি সর্দার নিয়োগ করেন। কিন্তু ধন মিয়া সর্দার নিয়োগে বিরোধীতা করেন। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া নিজের বন্দুক দিয়ে প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি করে।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এএইচ/জেআইএম
Advertisement