রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম জাতীয় জাদুঘর। বিভ্ন্নি দিবসে এখানে ঘুরতে আসেন রাজধানী ঢাকাসহ দূর দূরান্তের অসংখ্য মানুষ। তবে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে জাতীয় জাদুঘর দেখতে এসে ফিরে যাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। এখানে আসার পর তারা জানতে পারছেন এটি বন্ধ। এ কারণে দূর থেকে এসেও জাদুঘর না দেখে ফিরে যেতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের।
Advertisement
বুধবার (৪ মে) রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত জাতীয় জাদুঘরের সামনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
এদিকে তিন বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রাজধানীর শাহবাগ শিশু পার্ক। আধুনিকায়নের নামে পার্কটি বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এতে বিনোদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশু–কিশোররা। এখন ঈদের ছুটিতেও পার্কটি ব্যবহারের সুযোগ পাবে না তারা। অথচ সরকারিভাবে চালু হওয়া এটিই দেশের প্রথম শিশু পার্ক। আর এ দুটি জায়াগার একটিতেও যেতে না পারে হতাশ হয়ে চল যাচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
এদিন জাতীয় জাদুঘরের সামনে গিয়ে দেখা যায়, অনেক দর্শনার্থী সপরিবারে সেখানে এসেছেন। অনেকে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। তবে জাদুঘর বন্ধ থাকায় হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন তারা।
Advertisement
পরিবারের সাত সদস্যকে নিয়ে জাদুঘর দেখতে এসেছেন এয়ারপোর্ট এলাকার দক্ষিণখানের বাসিন্দা শরিফা খাতুন। তিনি বলেন, এখন মনটা খুব খারাপ। কারণ বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। এসে দেখছি বন্ধ। এখন যাবো চিড়িয়াখানায়।
গাবতলী থেকে আসা হামিদুল বলেন, এত দূর থেকে এসেছি। আমরা জানতাম দুপুর ২টার পর জাদুঘর খোলা থাকবে। কিন্তু এসে দেখি বন্ধ। এখানে অনেকে দূর দূরান্ত থেকে এসেছেন। কেউ কেউ গাজীপুর, সাভার থেকেও এসেছেন। রাস্তায় গাড়ি কম, তাই আসতেও আমাদের সমস্যা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ কেন বন্ধ রেখেছে তা আমাদের জানা নেই।
‘আর বন্ধ আছে- এটা যদি সংবাদমাধ্যমে প্রচার করতো তাহলে আমাদের এত কষ্ট হতো না। আমাদের বাচ্চারা হতাশ হতো না।’ যোগ করেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা মো. সাইদ বলেন, এসে দেখি জাদুঘর বন্ধ। শিশুপার্কও বন্ধ। এখন তো আমাদের এমনি এমনি চলে যেতে হবে। আসাটাই আমাদের বৃথা।
Advertisement
জাতীয় জাদুঘরের গেটে দায়িত্বরত একজন জাগো নিউজ বলেন, ঈদের আগের দিন থেকে জাদুঘর বন্ধ। শুক্রবার (৬ মে) থেকে খোলা থাকবে।
বন্ধের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবারই তো ঈদ আছে। সবাই ঈদ করতে গেছে, তাই বন্ধ।
এইচএস/ইএ/এমএস