লাইফস্টাইল

গুণে ভরা গাজর

গাজর দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি গাজরে আছে নানা ধরণের পুষ্টিগুণ। আমাদের দেহের সুস্থতায় গাজর অনেক বেশি কার্যকরী। বেশ সহজলভ্যও এই পুষ্টিকর সবজিটি। কাচা এবং রেঁধে দুইভাবেই খাওয়া যায় গাজর। চলুন জেনে নিই গাজরের উল্লেখযোগ্য কিছু উপকারিতা-১. শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় দ্রুত। গাজর খেলে ত্বকে পটাশিয়ামের অভাব দূর হবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।২. চুল পড়া রোধে গাজরে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল কার্যকর। গাজর চুল পড়া কমায়, চুলকে শক্ত ও মজবুত করে।৩. গাজরের থাকা বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন ‘এ’-তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন ‘এ’ দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।৪. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে এই সবজি। তাই শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়।৫. এই সবজির আলফা ক্যারোটিনসহ আরও কিছু উপাদান হৃদ্রোগ ও হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখে।৬. গাজরের উপকারী উপাদানগুলো ফুসফুসের সংক্রমণ প্রতিরোধে অংশ নেয়। এ ছাড়া শ্বাসনালির প্রদাহ ভালো করে।৭. গাজর দাঁতের সুরক্ষা দেয়। দাঁত পরিষ্কারক হিসেবে যেমন কাজ করে, তেমনি দাঁতের গোড়ায় ক্যালকুলাস জমতেও বাধা দেয়।৮. গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য গাজর খুব ভালো সবজি। গাজরের রসে শিশুর জন্ডিস হওয়ার ঝুঁকি কমে।১০. যারা দীর্ঘদিন পেটের সমস্যায় ভুগছেন, এবার গাজরে সমাধান খুঁজতে পারেন, এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করারও ভালো ওষুধ।১১. এটি অ্যান্টিবায়োটিকের মতো কাজ করে। শরীরের যেকোনো ক্ষত দ্রুত শুকিয়ে ফেলে সবজিটি। এ ছাড়া যেকোনো সংক্রমণের বিরুদ্ধেও লড়ে।১২. এটি কৃমিনাশক হিসেবে পরিচিত। নিয়মিত গাজর খেলে পেটে কৃমি হওয়ার শঙ্কা কমবে।১৩. গাজরে ক্যারোটিনয়েড রঞ্জক পদার্থ রয়েছে। এ উপাদানটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।১৪. গাজর খেলে পেট ভরবে ঠিকই, আবার বেশি ক্যালরিও যোগ হবে না শরীরে। তাই ওজন কমাতে বেশি বেশি গাজর খেতে পারেন।এইচএন/এমএস

Advertisement