দেশজুড়ে

২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রেমিককে হাজির না করলে আত্মহত্যার হুমকি

বিয়ের দাবিতে জামালপুর থেকে বরগুনায় আসা তরুণী প্রেমিককে হাজির করার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে তাকে হাজির করা না হলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

রোববার (১ মে) বিকেলে ওই তরুণী বলেন, প্রেমিক মাহমুদুলের বাসা তালাবদ্ধ থাকায় তিনি বাসার সামনে বসে দিনরাত পার করছেন। কিন্ত গত তিন দিনেও মাহমুদুল বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাননি। ফলে বাধ্য হয়ে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ে তার দাবি মেনে না নেওয়া হলে ওই বাসার সামনে তিনি আত্মহত্যা করবেন।

এদিকে বিকেলে ওই তরুণীর খোঁজখবর নিতে আসেন প্রেমিক মাহমুদুল হাসানের মামা আবদুস সোবাহান গাজী। এ সময় স্থানীয়রা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

সোবাহান গাজী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি মানবিক কারণে মেয়েটির খোঁজ নিতে এসেছিলাম। আমার ভাগনে বা বোন ভগ্নিপতির সঙ্গে আমিও যোগাযোগ করতে পারছি না। আমি চাই এটার সমাধান হোক।’

Advertisement

স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তিন বছর একসঙ্গে থাকার পর বিয়ে না করায় বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালী এলাকার বকুল ভিলা নামের একটি বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন রাজধানীর উত্তরা ইউনিভার্সিটির ওই ছাত্রী। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে তিনি ওই বাড়িতে অবস্থান করছেন

অবস্থান নেওয়া ওই ছাত্রী জাগো নিউজকে জানান, চান্দখালীর কাঠপট্টি এলাকার বকুল ভিলার মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে ঢাকায় তার পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে একসময় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তিন বছর ঢাকার বিভিন্ন বাসা ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকতেন তারা। তখন বিয়ের প্রলোভন দেখালেও বর্তমানে বিয়েতে রাজি না থাকায় যোগাযোগ বন্ধ করে দেন মাহমুদুল। তাই বিয়ের দাবিতে তিনি বরগুনায় মাহমুদুলে বাড়িতে এসেছেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ সোনা মোল্লা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে মেয়েটি ওই বাড়িতে আসার পর বাসা ছেড়ে পরিবারসহ আত্মগোপনে আছেন প্রেমিক মাহমুদুল হাসান।

তিনি আরও বলেন, ‘মেয়েটির নিরাপত্তা দিয়ে দেখভাল করছি। তিনদিন ধরে মাহমুদুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। বিষয়টি সমাধান দরকার এবং আমরা সেই চেষ্টা করছি।’

Advertisement

এ বিষয়ে মাহমুদুল হাসানের পরিবারের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বেতাগী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, মেয়েটি যদি লিখিত অভিযোগ করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসআর/জিকেএস