ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রোববার (১ মে) সকালেও সদরঘাট থেকে নৌপথে ঢাকা ছেড়েছেন অসংখ্য ঘরমুখো মানুষ। সকাল থেকে শতাধিক লঞ্চে ঢাকা ছেড়েছেন দুই লক্ষাধিক যাত্রী। তবে, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যেতে থাকে সদরঘাটের চিত্র। বিকেলে যাত্রীর চাপ নেই।
Advertisement
রোববার সরেজমিনে সদরঘাট লঞ্চটার্মিনাল ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। স্বস্তি নিয়ে ঈদযাত্রা করছেন অসংখ্য ঘরমুখো মানুষ। যারা শেষ সময়ে ছুটি পেয়েছেন মূলত এখন তারাই ঢাকা ছাড়ছেন।
দেখা যায়, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঢাকা-বরিশাল-কাউখালী-তুষখালীগামী লঞ্চের সামনে যাত্রীর জন্য হ্যান্ড মাইক দিয়ে হাকডাক করে যাত্রীদের আকর্ষণ করছেন লঞ্চের সুপারভাইজার নাজিম উদ্দিন। তাতেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত যাত্রী।
নাজিম উদ্দিন বলেন, সকালে যাত্রীর চাপ ছিল, এখন সেই চাপ নেই। টুকটাক যাত্রী আসছেন। তাদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন।
Advertisement
সেখানে কথা হয় ভোলা বোরহানউদ্দিনের যাত্রী মো. রাজ্জাকের সঙ্গে। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত আছি। আজ ছুটি পেয়েছি। পরিবারের ঈদ উদযাপনে বাড়ি যাচ্ছি। ভেবে ছিলাম লঞ্চে ভিড় হবে। তবে সদরঘাটে সেই ভিড় নেই। ভালোই লাগছে। আশাকরি, সাচ্ছন্দে বাড়ি যেতে পারবো।
সদরঘাটে অবস্থিত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কন্ট্রোল রুম জানায়, নোয়াখালী হাতিয়া, ভোলা, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, শরিয়তপুরগামী যাত্রী বেশি দেখা গেছে। রোববার দুপুর পর্যন্ত শতাধিক লঞ্চ সদরঘাট ছেড়েছে। এসব লঞ্চে দুই লাখের বেশি যাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন। তবে যাত্রীর চাপ আর হবে না। তবে চাঁদরাতে চাপ বাড়বে চাঁদপুরগামী যাত্রীদের। দূরত্ব কম হওয়ায় শেষ মুহূর্তে সদরঘাট হয়ে ঢাকা ছাড়বেন তারা।
এমওএস/এমএএইচ/জিকেএস
Advertisement