অসহনীয় যানজটের শহর ঢাকা এখন অনেকটায় ফাঁকা। যারা এখনো রাজধানীতে আছেন, তারা স্বস্তিতে যাতায়াত করছেন। তবে শেষ মুহূর্তেও অনেকে ঈদের ছুটিতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন। কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশন, গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালমুখী রাস্তায় তুলনামূলক যানবাহন বেশি। এছাড়া মার্কেট, শপিংমল ও ঢাকা থেকে বের হওয়া রাস্তা যেমন- উত্তরা, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে কিছুটা ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে কোথাও কোনো যানজট নেই।
Advertisement
রোববার (১ মে) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। কোথাও কোনো ট্রাফিক সিগনাল নেই। রাস্তায় সবচেয়ে কম যাত্রীবাহী বাস।
উত্তর বাড্ডা থেকে সাভার চলাচলকারী ফাল্গুনী বাসের চালক সাদ্দাম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এখন অনেকে দূরপাল্লার ক্ষ্যাপ মারছেন। ঢাকা ভেতরে কম বাস চলছে।
মানিকমিয়া অ্যাভিনিউ, গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড, কারওয়ান বাজার, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও ট্রাফিক সিগনালের প্রয়োজন হচ্ছে না। রাস্তার যে পাশে যখন গাড়ি বেশি, তখন তারা নিজেরাই একপাশ থেকে অন্য পাশে যাচ্ছেন। গাড়ির সংখ্যা এতটায় কম যে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বক্সে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন।
Advertisement
তবে কোথাও কোথাও রিকশার দৌরাত্ম্য দেখা গেছে। এছাড়া ফাঁকা রাস্তা পেয়ে অনেক ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাস ও মোটরসাইকেল বেপরোয়াভাবে চলতে দেখা গেছে।
যাত্রীর অপেক্ষায় সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে ভাড়ায়চলা মোটরসাইকেল। মধ্যবাড্ডার গুদারাঘাটে ভাড়ায় চলাচল করা বেশ কয়েকজন মোটরসাইকেলচালককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সেখানে যাত্রীর অপেক্ষায় জিয়া নামের একজন চালক বলেন, ঈদের ছুটির শুরু হওয়ায় যাত্রী কমে গেছে। বেশিরভাগ সময়ই বসে থাকতে হচ্ছে।
সেতু ইসলাম নামে একজন যাত্রী জাগো নিউজকে বলেন, ‘টঙ্গী থেকে যাত্রাবাড়ী যেতে কখনো কখনো তিন-চার ঘণ্টা লাগে। তবে আজ মাত্র ২০ মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছে গেছি।’
তেজগাঁওয়ের রিকশাচালক সাইফুল্লাহ বলেন, ‘রাস্তা ফাঁকা, যাত্রীও নেই। আগের চেয়ে আয় অনেকটা কমে গেছে। ঈদে বাড়ি গেলেই ভালো করতাম। এ কদিন (ছুটির সময়) ভাড়া খুবই কম হবে বলে মনে হচ্ছে।’
Advertisement
এইচএস/এএএইচ/জেআইএম