এবারের ঈদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে ১১টি পয়েন্টে যানজট লাগার শঙ্কা থাকলেও হাইওয়ে পুলিশের কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার কারণে এখনো পর্যন্ত দীর্ঘ কোনো যানজট সৃষ্টি হয়নি। শনিবার (৩০ এপ্রিল) মহাসড়কে সরেজমিনে গিয়ে এমনই চিত্র লক্ষ্য করা যায়।
Advertisement
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কের অবৈধ যেসব ইউটার্ন রয়েছে সেগুলো হাইওয়ে পুলিশ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে যেখানে সেখানে গাড়ি ঘুরানোর সুযোগ নেই। আগে এসব অবৈধ ইউটার্নগুলো থাকার কারণে যখন তখন গাড়ি ঘোরানোর সময় যানজটের সৃষ্টি হতো। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটতো এবং ওই জায়গাগুলোতে যানবাহনের একটা জটলা সৃষ্টি হতো।
দেখা যায়, সাইনবোর্ড মোড় ও শিমরাইল মোড়ে যানজট দূর করতে কয়েকশ গজ দূরে ইউটার্নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জগামী গাড়িগুলো সানারপাড় ইউটার্ন হয়ে সাইনবোর্ড দিয়ে প্রবেশ করছে। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে চট্টগ্রাম বা সিলেটগামী গাড়িগুলো মাতুয়াইল ইউটার্ন নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া কাঁচপুর থেকে মেঘনাঘাট টোল প্লাজা পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইউটার্নগুলো ঠিক রেখে বাকি ইউটার্নগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর এসব ইউটার্নে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রায়হান হোসেন নামে এক যাত্রী জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবৈধ ইউটার্নগুলো বন্ধ করে দেওয়াতে যত্রতত্র গাড়ি ঘোরানো বন্ধ হয়েছে। এতে করে যানজট অনেকটাই কমে গিয়েছে।
Advertisement
বিল্লাল হোসেন নামে আরেক যাত্রী জানান, যত্রতত্র গাড়ি ঘুরানোর ফলে আগে সাইনবোর্ড থেকে চিটাগাংরোড যেতেই প্রায় ৩০ মিনিট সময় লেগে যেতো। কিন্তু এখন মাত্র ৫ থেকে ৭ মিনিটেই যাওয়া যাচ্ছে। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক ওমর ফারুক বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট যেন না হয় সেজন্য মহাসড়কের অবৈধ ইউটার্নগুলো সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া সাইনবোর্ড মোড় ও শিমরাইল মোড়ের যানজট দূর করতে এ দুটির ইউটার্ন বন্ধ করে দিয়ে সানারপাড়-মৌচাকের মাঝামাঝিতে একটি ইউটার্ন নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে গাড়ির চাপ থাকলেও এখানে কোনো প্রকার যানজট নেই।
রাশেদুল ইসলাম রাজু/এফএ/এমএস