দেশজুড়ে

অগ্নিকাণ্ডে দোকান অক্ষত থাকলেও বেঁচে নেই রিংকু

নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হোসেন মার্কেটের ‘মারওয়া ফ্যাশন’ অক্ষত রয়েছে। তবে বেঁচে নেই এর মালিক আবদুল করিম রিংকু (৪২)।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) রাতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে দৌড়ে এসে দোকানের মালামাল সরাতে গিয়ে হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

আবদুল করিম রিংকু বেগমগঞ্জের দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের ফরায়েজী বাড়ির মৃত আবুল কালামের ছেলে।

তিনি চৌমুহনীর ব্যাংক রোডের হোসেন মার্কেটের পশ্চিম গলির ১৪ নম্বর দোকন মারওয়া ফ্যাশনের মালিক ছিলেন। আগুনে কমপক্ষে ২০০ দোকান পুড়ে গেলেও তার দোকানের কোনো ক্ষতি হয়নি।

Advertisement

রিংকুর ভাগনে মো. ইমরান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আগুন লাগার পর মামাসহ আমরা দোকানের মালামাল সরিয়ে নিচ্ছিলাম। হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করে পড়ে যান তিনি। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।’

ইমরান আরও বলেন, ‘বুধবার (২৭ এপ্রিল) রাতে রিংকু মামার স্ত্রী (মামি) লৎফুন নাহার চৌমুহনীর ড্রিম হাসপাতালে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। এটি তাদের প্রথম সন্তান। দীর্ঘদিন পর প্রথম ছেলের হওয়ার আনন্দে অনেক খুশিতে ছিলেন মামা। ঈদ উপলক্ষে দোকানে অধিক পুঁজি দিয়ে অনেক ভালো কালেকশনও করেছিলেন। হঠাৎ আগুন লাগার সংবাদে সব ওলট-পালট হয়ে গেলো।’

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী বাজারের ব্যাংক রোডের স্টেশন মার্কেট, ইসলাম মার্কেট ও হোসেন মার্কেটে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের আগুন লাগে। এতে ঈদ উপলক্ষে সাজানো কমপক্ষে ২০০ দোকান পুড়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, আগুনে ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাজারের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য, মেয়র, বাজার কমিটিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Advertisement

ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/এমএস