দেশজুড়ে

ছয়মাস ধরে বন্ধ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার স্বপাড়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ছয় মাস ধরে বন্ধ। ভবন জরাজীর্ণ হওয়ায় কেন্দ্রে আসেন না দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. কাজি কায়েদা খানম। রোগীদের প্রতিদিন ওষুধ দেওয়ার কথা থাকলেও তা বন্ধ রয়েছে। ফলে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এখানকার বাসিন্দারা।

Advertisement

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মারুকা ইউনিয়নের স্বপাড়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মূল দরজায় তালাবদ্ধ। তবে ভবনের একপাশের বারান্দায় মালামাল রাখেন স্থানীয় ব্যবসায়ী সিপন মিয়া।

এ বিষয়ে তিনি বলেন মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, এখানে কোনো ডাক্তার আসেন না, খালি পড়ে আছে। তাই আমি দরজা লাগিয়ে দোকানের কিছু মালামাল রাখছি।

স্থানীয় স্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দীন মিয়া, মফিজুল ইসলাম ও জাকির হোসেন বলেন, একসময় ১০ গ্রামের মানুষ এখান থেকে চিকিৎসা সেবা পেত। গত করোনার পর থেকে এখানে কোনো ডাক্তার, নার্স কেউই আসে না। হাসপাতালটি চালু রাখার দাবিতে এলাকার লোকজন মানববন্ধনও করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসে পরিদর্শন করে গেলেও কোনো কাজ হয়নি। আজ ছয় মাস হলো এটি তালাবদ্ধ।

Advertisement

এ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দায়িত্বরত চিকিৎসা কর্মকর্তা কাজি কায়েদা খানম জাগো নিউজকে বলেন, আমি নতুন, কয়েকদিন হলো স্বপাড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পোস্টিং হয়েছে। জরাজীর্ণ ভবনে বসার পরিবেশ না থাকায় গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসি। সেখানকার জরাজীর্ণ ভবন এবং পরিবেশগত অবস্থার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, স্বপাড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ছয়মাস বন্ধ! কেউতো আমাকে জানায়নি। সেখানে ফার্মাসিস্টের পদটি শূন্য এবং একজন স্যাকমো থাকলেও প্রেষণে তিনি মালিগাঁও ডিউটি করছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের একজনকে দিয়ে সপ্তাহে একদিন ওষুধ বিতরণ করা হতো। ছয়মাস পর এসে আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে ওই উপ-স্বাস্থকেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসেন।

এসজে/জেআইএম

Advertisement