বরিশালের একটি ফার্মেসি থেকে চেতনানাশক ইনজেকশন উদ্ধারের অভিযোগে আটক ওষুধ ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়ায় কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির ডাকা অনির্দিষ্টকালে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।সোমবার দুপুরে নগরীর সদর রোড জেলখানা মোড়ের হাবিব মেডিকেল হলের মালিক অরুন ঘোষকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা আটক করে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এক জরুরি সভা থেকে অনির্দিষ্টকালে ধর্মঘটের ডাক দেয় বরিশাল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি।আটকের ১১ ঘণ্টা এবং ধর্মঘট শুরুর ৪ ঘণ্টার মাথায় রাত সোয়া ১১টায় তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এপিবিএনের পরিদর্শক মো. শফিক জানান, জনদুর্ভোগের বিষয়টি চিন্তা করে আটককৃত অরুন ঘোষকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) গোলাম রউফ খান বলেন, ওষুধ ব্যবসায়ী অরুন ঘোষকে ১৫ পিস অবৈধ প্যাথেড্রিনসহ থানায় নিয়ে এসেছিল এপিবিএন। এ ঘটনার পর সব ওষুধের দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জনস্বার্থে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে ঘটনার সুষ্ঠু সুরাহা করা হয়েছে।বরিশাল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি সমিতির সভাপতি কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল জানান, পরিকল্পিতভাবে প্রভাবিত হয়ে ব্যবসায়ী অরুন কুমার ঘোষকে ফাঁসানোর প্রতিবাদে ওষুধ ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। অরুন কুমার ঘোষকে ছেড়ে দেয়ায় রাত পৌনে ১২টার দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।এদিকে, কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ সন্ধ্যায় নগরীর সকল ওষুধের দোকান বন্ধ করে দেয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছিলেন রোগী এবং তাদের স্বজনরা। বিশেষ করে মুমূর্ষ রোগীদের নিয়ে চরম অসুবিধায় পড়েন তাদের স্বজনরা। নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরেও ওষুধ কিনতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রোগীর স্বজনরা।ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানান, সোমবার দুপুরে নগরীর হাসপাতাল সড়কের হাবিব ফার্মেসিতে এপিবিএন এএসপি আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে দুই কর্মকর্তাসহ কয়েকজন সদস্য গিয়ে নিজেদের পরিচয় গোপন করে জরুরি অপারেশনের কথা বলে ওষুধ ক্রয় করেন। তারা অপারেশনের জন্য চেতনানাশক ইনজেকশন চাইলে ফার্মেসি মালিক অরুন কুমার ঘোষ ওই ইনজেকশন বিক্রি করেন না বলে জানান।কিন্তু কিছুক্ষণ পর ১৫ অ্যামপুল প্যাথেডিন ইনজেকশন অরুন কুমার ঘোষের দোকানে পাওয়া গেছে অভিযোগ তুলে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।সাইফ আমীন/বিএ
Advertisement