কয়েকদিন আগেই ১১৯ বছর বয়সে মারা যান জাপানের কানে তানাকা। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি তিনি ১১৯ বছরে পা দেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনিই ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ। কিন্তু তার মৃত্যুর পর এবার সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের তালিকায় নাম উঠে এসেছে ফ্রান্সের এক নানের। সিস্টার অ্যান্ড্রে নামের ওই নানই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ।
Advertisement
কিভাবে এত বছর বেঁচে থাকা যায়? বয়স্ক মানুষদের দেখলেই আমাদের মনে এমন প্রশ্ন চলে আসে। অ্যান্ড্রে জানিয়েছেন, প্রতিদিন এক গ্লাস ওয়াইন আর চকলেটই তারা দীর্ঘজীবী হওয়ার গোপন রহস্য।
বর্তমানে অ্যান্ড্রের বয়স ১১৮ বছর ৭৩ দিন। গত সোমবার গিনেস বুকের রেকর্ডে সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে তার নাম উঠে আসে।
তবে ১১৭ বছর বয়সেই ইউরোপের সবচেয়ে বয়স্ক নারীর তকমা পেয়েছিলেন তিনি। আর কানে তানাকার মৃত্যুর পর এখন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির উপাধিও এখন তার ঝুলিতেই।
Advertisement
লুসিলে রেনডনে ১৯০৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন অ্যান্ড্রে। একটু বড় হওয়ার পর তিনি শিশুদের দেখাশোনার কাজ শুরু করেন। ১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় তিনি নান হিসেবে নাম লেখান।
প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ, ১৯৮১ সালের স্প্যানিস ফ্লু থেকে বেঁচে গেছেন অ্যান্ড্রে। এমনকি ২০২১ সালে করোনা মহামারি থেকে বেঁচে যাওয়া বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তিও তিনি।
গত ১২ বছর ধরে তুলোনের একটি নার্সিং হোমে বসবাস করছেন সিস্টার অ্যান্ড্রে। গত বছর করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেলে পুরোটা সময় তিনি তার নিজের ঘরেই বন্দি সময় কাটিয়েছেন।
এদিকে সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির তকমা পাওয়ায় তাকে স্বাগত জানিয়ে চিঠি লিখেছেন পোপ ফ্রান্সিস এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তুলোনের মেয়ার হুবার্ট ফালকো সিস্টার অ্যান্ড্রের উদ্দেশে বলেন, তিনি গর্ব করার মতো একজন মানুষ এবং সারাবিশ্বের জন্যই তিনি এক অনন্য উদাহরণ।
Advertisement
টিটিএন/এমএস