গতবারের রানারআপ। এবারও ছিল টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট। বিশেষ করে প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকে ৪-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারানোর পর বাংলাদেশের প্রত্যাশাটা বেড়ে গিয়েছিল অনেক বেশি। কিন্তু প্রত্যাশার বেলুন ফুটো হতে সময় লাগলো না। সেমিফাইনালে এসেই থেমে গেলো মামুনুলদের দৌড়। শক্তিশালি বাহরাইনের কাছে ১-০ গোলে হেরেই বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশের অনুর্ধ্ব-২৩ দলও।বাহরাইনের বিপক্ষে ম্যাচটি গড়াতে পারতো অতিরিক্ত সমযে, নিষ্পত্তি হতে পারতো টাইব্রেকারেও। তখন যে কোন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা ছিল; কিন্তু সেমিফাইনালে গোলরক্ষক শহীদুলের হাস্যকর একটা ভুলের কারণেই বাহরাইনের কাছে গোল হজম করে বসতে হলো বাংলাদেশকে। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে (৪৫+) বাহরাইনের মিডফিল্ডার সেলিম আদেলের ডান প্রান্ত থেকে ক্রস, পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসা শহীদুল হাত বাড়িয়ে নামিয়ে দেন। সামনেই দাঁড়িয়ে থাকা ইব্রাহিম আল হুজির নিখুঁত হেডে বল প্রবেশ করে বাংলাদেশের জালে।অথচ, খেলাটি দেখলে কেউই বাংলাদেশকে পরাজিতের কাতারে রাখতে চাইবে না। কারণ, বল দখলের লড়াইয়ে বেশির ভাগ সময়ই এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। বারবার আক্রমণেও উঠেছে; কিন্তু অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে খেই হারিয়েছে প্রতিবার। শেষ পর্যন্ত ফিনিশারই খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ দল। অধিনায়ক মামুনুল ছিলেন আনফিট, কোচ তাকে তুলে নিয়েছেন দ্বিতীয়ার্ধের কিছু সময় পরপরই। ফলে মাঝমাঠটাও যেন হয়ে পড়ল নিষ্প্রভ।অথচ ম্যাচের ২৩ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। হেমন্তর ক্রসে মিঠুন পা ছোঁয়াতেই পারলেন না। গোল হজম করার পর দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধে মরিয়া ছিল বাংলাদেশ। দুর্দান্ত সুযোগ এসেছিল ৫২ মিনিটে; কিন্তু রনির হেড সাইড পোস্টে লেগে ফেরে। ম্যাচের একপর্যায়ে ডাগ আউটে দুর্ব্যবহারের কারণে বাহরাইন কোচ মারজান ইদকে বের করে দেন রেফারি। বেরিয়ে যাওয়ার সময় চ্যানেল নাইনের ক্যামেরাম্যানের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন তিনি। ম্যাচের শেষ দিকে অবশ্য কয়েকটা আক্রমণ ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু সব আক্রমণেরই অপমৃত্যু হয়েছে ফিনিশারের অভাবে। আইএইচএস/পিআর
Advertisement