বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলেনের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশত সেমিস্টার পরীক্ষা অনিশ্চয়তায় পড়েছে। গত ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতিতে এ পর্যন্ত ৪৫টি সেমিস্টার পরীক্ষার কয়েকটির রুটিনে নির্ধারিত দিন পেরিয়ে গেছে। পরীক্ষাগুলোর তারিখ এখন পর্যন্ত নির্ধারিত হয়নি। আর বাকি পরীক্ষাগুলোও রুটিন অনুযায়ী হবে কি না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। ফলে বিপাকে পড়েছেন স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর শেষ সেমিস্টারের পরীক্ষার্থীরা। এদিকে সোমবারও ৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংগতি রেখে জবি শিক্ষক সমিতি কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছে। শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এদিন বিভিন্ন বিভাগের দফতর ঘুরে দেখা গেছে, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, ইতিহাস, উদ্ভিদবিদ্যা, মাইক্রো বায়োলজি, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিস, মার্কেটিং, পরিসংখ্যান, লোক ও প্রশাসন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ,নৃ-বিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ইংরেজিসহ মোট ২০টি বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের ১১ জানুয়ারি ৫টি, ১২ জানুয়ারি ৩টি, ১৩ জানুয়ারি ৬টি, ১৪ জানুয়ারি ১১টি, ১৭ জানুয়ারি ১২টি, ১৮ জানুয়ারি ৫টি সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাসহ মোট ৪৫টি পরীক্ষা রুটিন অনুযায়ী নেয়া হয়নি।
Advertisement
এ পরীক্ষাগুলোর বিষয়ে দাফতরিক কোনো নির্দেশনাও পায়নি শিক্ষার্থীরা। ফলে চলমান আন্দোলনে তাদের এ অর্ধশত পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। যদিও কর্মবিরতির ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া হবে জানিয়ে জবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের সাময়িক জট অতিরিক্ত ক্লাস পরীক্ষার মাধ্যমে পুষিয়ে দেয়া হবে। জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছেন। তাই আশা করছি আমাদের দাবি-দাওয়া অচিরেই মিটে যাবে।জবি প্রতিনিধি/এসএইচএস/এসকেডি/পিআর