আগামী ২ জুন কানাডার অন্টারিওতে প্রাদেশিক নির্বাচন। ফলে সেখানে বইতে শুরু করেছে ভোটের হাওয়া। এবারের নির্বাচনকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন প্রদেশটির বাসিন্দারা। তবে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে এর আলাদা গুরুত্ব তৈরি হয়েছে। কারণ এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন তিন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত।
Advertisement
এর মধ্যে একজন হলেন ডলি বেগম। ২০১৮ সালে এনডিপির মনোনয়ন নিয়ে তিনি নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য একটি গৌরবোজ্জ্বল রেকর্ড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এবারও তিনি স্কারবোরো সাউথওয়েস্ট রাইডিংয়ে প্রার্থী হয়েছেন।
অপরদিকে আরেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফারহিন আলিম ইটোবিকো-লেকশোতে নির্বাচনী লড়াই করবেন। তিনি এনডিপির প্রার্থী।
এছাড়া ওকভিল নর্থ বারলিংটন থেকে লিবারেল পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন কানিজ মৌলি। এরই মধ্যে অন্টারিওতে প্রবাসী বাঙালিদের মাঝে নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
Advertisement
ডলি বেগম জানান, গত চার বছর তিনি অন্টারিয়ানদের নানা ইস্যুতে পার্লামেন্টে সোচ্চার থেকেছেন। সরব থেকেছেন অভিবাসীদের সমস্যা নিয়ে। তার চার বছরের কাজের মূল্যায়নে ভোটাররা এবারো তাকে বিজয়ী করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা মূলত অভিবাসী। নিজে একজন অভিবাসী পরিবারের সদস্য হিসেবে তার সমস্যা, তাদের চাওয়া আমি সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারি।
অপরদিকে এনডিপির আরেক প্রার্থী ফারহিন আলিম বলেন, আমি একজন হাইস্কুল শিক্ষক, পেশাদার রাজনীতিক নই। কিন্তু মহামারিতে আমার ছাত্রছাত্রীদের যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে, তা দেখে আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি।
নিজের বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ফারহিন আলিম। তিনি বলেন অভিবাসী, মধ্যবিত্ত নাগরিকদের সমস্যা নিয়ে কাজ করতে চাই।
Advertisement
এছাড়া লিবারেল পার্টির প্রার্থী কানিজ মৌলি বলেন, অন্টারিওর মধ্যবিত্ত সমাজের জন্য সবচেয়ে প্রগতিশীল এবং অগ্রসর ভাবনার কর্মসূচি নিয়ে এবার নির্বাচন করছে লিবারেল। তিনি আশা করছেন, তাদের কর্মসূচির কারণেই জনগণ এবার ভোট দেবে।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সক্রিয় রাজনীতি করা এই প্রার্থী জানান, রাজনীতি এবং প্রশাসনিক পর্যায়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জন করার পর তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।
বাংলাদেশি এই তিন বংশোদ্ভূতের প্রার্থিতা নিয়ে কানাডার নতুন দেশ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ও সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর বলেন, প্রভিন্সিয়াল নির্বাচনে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো থেকে এই তিনজনের মনোনয়ন প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য সম্মানের বিষয়।
তিনি মূলধারার রাজনীতিতে আরও বেশি অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, শুধু প্রার্থী নয়, ভবিষ্যতে আরও বেশি প্রবাসীদের কানাডার মূলধারার রাজনীতিতে দেখতে চাই, যাতে বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে একটি সুদৃঢ় সেতুবন্ধন তৈরি হয়।
জেডএইচ/জেআইএম