সমন্বিত মাছ চাষ পদ্ধতিতে ঝুঁকছেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশের চাষিরা। কয়েকবছর আগেও এই এলাকার পুকুরের পাশের জায়গা ফাঁকা পড়ে থাকত। বর্তমানে পুকুর পাড়ের সেই ফাঁকা জায়গায় গড়ে তুলছেন কলাবাগান। মাছ চাষের পাশাপাশি বাড়তি আয় যোগাচ্ছে কলা চাষ।
Advertisement
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মাছ চাষের পাশাপাশি পুকুর পাড়ে কলা চাষে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন স্থানীয় মাছ চাষিরা। এলাকায় দিন দিন পুকুর পাড়ে কলা চাষের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় বিশেষ করে শিক্ষিত বেকার যুবকরা মাছ চাষের পাশাপাশি কলা চাষের দিকেও ঝুঁকছেন।
চলতি মৌসুমে মাছের চড়া দাম না পেলেও কলার দাম কিছুটা ভালো পাওয়ায় বেশ লাভবান হচ্ছেন মাছ চাষিরা। এছাড়া কলা চাষে লাভবান হওয়ায় আনাচেকানাচে গড়ে উঠছে কলা বাগান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুধু পুকুরের পাড়েই নয় উপজেলার সড়কের পাশের জমি, বাড়ির আশাপাশে ফাঁকা জায়গায় কলার চারা রোপণ করছেন এলাকারা মানুষ। চাষযোগ্য জমির পাশাপাশি পতিত জমিতে করা হয়েছে অসংখ্য কলার বাগান।
Advertisement
আর কলা চাষে সফলতার মুখ দেখেছেন এখানকার চাষিরা। ফলে অন্যের জমি বর্গা নিয়েও অনেকে কলা বাগান করছেন। আবার অনেকে পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ির পাশের পতিত জমিতেও বাগান করছেন কলার।
যেখানে অন্যান্য ফসল চাষ করে লাভবান হতে পারছেনা না স্থানীয় চাষিরা, সেখানে সমন্বিত মাছ চাষে সফল হচ্ছেন। মাছ চাষে পুকুরের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি দিন দিন বাড়ছে কলার বাগান। এ চাষে সম্পৃক্ত হচ্ছেন নতুন নতুন চাষি। একরের পর একর কলার বাগান করে বছর শেষে মোটা অংকের টাকা উপার্জন করছেন এখানকার মাছ চাষিরা।
স্থানীয় মাছ চাষি ফিরোজ আলী বলেন, আমি পুকুর পাড়ে দুই বছর ধরে কলা চাষ করছি। এর আগে ভালো লাভ হয়েছে। এজন্য চলতি বছর নিজের ৬টি পুকুরের ধারেই কলা গাছ লাগিয়েছি। কয়েক মাস পর বাগানের কলা বিক্রির উপযোগী হবে। বয়স ভেদে বিভিন্ন গাছে কলার কাদি প্রায় সারা বছরই ফলন দেয়। প্রতি কাদি কাঁচা কলা পাইকারি বিক্রি হয় প্রকার ভেদে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, তাড়াশ উপজেলায় দিন দিন কলাচাষে আগ্রহীদের সংখ্যা বাড়ছে। চলতি মৌসুমে তাড়াশ ১৭ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় চাষিরা অন্যান্য ফসল বাদ দিয়ে কলা চাষ করছেন।
Advertisement
এছাড়াও মাছ চাষের পাশাপাশি পুকুর পাড়ে কলা চাষের সংখ্যাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কলা চাষে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পরিদর্শন করে চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
এমএমএফ/এএসএম