১১৯ বছর বয়সে মারা গেলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ কানে তানাকা। এ বছর ২ জানুয়ারি তিনি ১১৯ বছরে পা দেন। আজ পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ ছিলেন কানে তানাকা। গিনেস বুকের রেকর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ এই নারী।
Advertisement
জাপানি নাগরিক কানে তানাকা ১৯০৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯ বছর বয়সে একজন চাল ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন তিনি। তার নিজের একটা নুডলস শপ আর রাইস কেকের দোকান ছিল। ১০৩ বছর পর্যন্ত তারা সংসার করেছেন একসঙ্গে। তাদের ছিল পাঁচ সন্তান। কেন চার সন্তানের জন্ম দেন ও এক সন্তানকে দত্তক নেন। স্বামীর মৃত্যুর পর তানাকা একটি ওল্ডহোমে থাকতেন। মাঝে মাঝে ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনিরা দেখা করতে যেতেন।
তানাকা বহু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে দুটি বিশ্বযুদ্ধ এবং ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু। তার জীবন ৪৯টি গ্রীষ্মকালীন এবং শীতকালীন অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কিছুদিন আগে পর্যন্তও শারীরিক অবস্থা বেশ ভালই ছিল কেনের। তিনি এক নার্সিং হোমে থাকতেন যেখানে নিয়মিত বিভিন্ন বোর্ড গেমস খেলতেন, অঙ্ক কষতেন। মনোরঞ্জন করতেন সোডা আর চকোলেটে।
Advertisement
২০১৯ সালে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাকে পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত মানুষের তকমা দেওয়া হয়। তার প্রতিদিনের রুটিন সেই সময়ে বলা হয়েছিল। যার মধ্যে ছিল সকাল ৬টায় ঘুম থেকে ওঠা এবং বিকেলে গণিত অধ্যয়ন এবং ক্যালিগ্রাফি অনুশীলন করা।
কেনের সময় কাটানোর অন্যতম পছন্দের মুহূর্ত হচ্ছে ওথেলো গেম এবং তিনি বোর্ডগেমে এতই পারদর্শী হয়ে গেছে যে প্রায়ই বাড়ির বাকিদের হারিয়ে দেন।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, জাপানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়স্ক জনসংখ্যা রয়েছে, যেখানে প্রায় ২৮ শতাংশ মানুষের বয়স ৬৫ বা তার বেশি। গিনেস দ্বারা স্বীকৃত এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ ফরাসি নারী জিন লুই ক্যালমেন্ট। তিনি ১৯৯৭ সালে ১২২ বছর এবং ১৬৪ দিন বয়সে মারা যান।
সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস
Advertisement
কেএসকে/এএসএম